পর্ব ১
কৃষ্ণ কে আপন করিবার তরে গোপীগন কাত্যায়নী করে, করিতে মনের আশ উত্থাপন ;
ব্রত শেষে সবে মিলে যমুনা নদীর জলে পুণ্য স্নানে, একে একে করিল অবগাহন ;
একে একে যবে স্নানকরি উঠিল তীরে অষ্টসখী চমকিত স্বরে, চারিদিকে করিছে বস্ত্র অন্বেষণ ;
এমন কি হইলো হেতা আসিল কে নিস্তব্ধতায় অযথা , করিল বস্ত্র অপহরণ!
কদম গাছে চাহিয়ে দেখে বস্ত্রগুলি বৃক্ষশাখায় রহে,
বাঁশি হাতে স্বয়ং বংশীবদন;
কালাতাহার গায়ের অঙ্গ মধুর হাসি সদা সঙ্গ, আলোকিত রাঙা দু চরণ ;
কালারে ডাকিয়া কহে সকল সখি আমাদের বস্ত্র ফিরায়ে দাও দেখি, কেন করিছ এমন অপকরণ?
না হইলে চাইবে মান উজ্জ্বল আকাশে প্রকাশ দিনমান, কেমনে করিব লজ্জা নিবারণ!!
হাসিয়া কহে মধুসূদন সবারে করিব বস্ত্র দান,
একএক করিয়া উঠিয়া এসে কর বস্ত্রবরণ;
না হইলে চলিলাম আমি মুই তোমাদের প্রাণ-স্বামী, গোপীকূল লীলাধর জনার্দন।
গোপীগন কহে তারে প্রেমারসাস্বাদনের হেরে হেরিতে, কবে করিবে মিলন?
গোপীনাথ হাসিয়া কহে প্রতিজ্ঞা করি তোমাদের পাশে, আসিব করিতে রমন।
আগামী পূর্ণিমার তিথি যবে হইবে যমুনা নদী তার পাশে বহিবে, ভাবসাগরে রাস করিব আলাপন;
সবার সাথে রবে কৃষ্ণ নৃত্যগীতের ঝঙ্কারে সমর্পিত , সেই স্থান হইবে মধুর বৃন্দাবন।