মনের কথা কইবো কত ও প্রাণের সই,
আধার রাতে খাটের পরে একা জেগে রই।
কালার বাঁশি বাজতো যখন নীলযমুনার তটে,
যেতাম সখী জল আনিতে কদমতলার ঘাটে।
সেই কদমে মোর কালাচাঁদ হাসতো মধুর হাসি,
এমন ভাবে পিরীত করিত মন হরিতে উদাসী।
সকলি ভুলেছিনু সখী  প্রীতির পরশ সোহাগে,
তাহার মতো বন্ধু ছিলোনাকো পিরিত করার আগে।
কানুর খেলা কানুই জানে কত ফন্দি তাহারমনে
মনচোরাসে দিনের শেষে থাকে মনের সবুজ বনে।


মনের কথা কইবো কত ও প্রাণের সই,
আধার রাতে খাটের পরে একা জেগে রই।
আজো বসে ভাবি তাকে গুনি অপেক্ষার প্রহর,
কত কাটে দিন রাত্রি নিঝুম নিশি ভোর।
তাহার হাতের বাঁশের বাঁশি কিবা তাহার গুন,
অবলার নাবলা কথায় সখী ধরাইছে আগুন।
এবার মরে বাঁশি হবো থাকবো বন্ধুর হাতে,
জীবন-মরনো পরশও নিয়া রইবো সাথে সাথে।
মোহন সুরে উঠবো বেজে ফুটবে মধুর হাসি,
গানে গানে বলবো সখী আমি কালারেই ভালোবাসি।


মনের কথা কইবো কত ও প্রাণের সই,
আধার রাতে খাটের পরে একা জেগে রই।
প্রেমের ছলে ছলিয়াছে সই কদম্ব তলে,
দিবানিশি বারে ক্ষত বুকে বিরহের অনলে।
শ্যামের সোহাগে এত জ্বালা জুড়ায়না যমুনার জলে,
একটিবার আইসো সখা নিতে কোলে তুলে।
সব বিরহ ভুলিয়া যাইবো সখী দেখিলে তাঁরে,
নিজের হাতে সাজাইয়া দিতাম কালা অঙ্গের পরে।
সই তাঁহার লাগি শৃঙ্গর করিতাম বাধিতাম বিনুনি,
অশ্রুজলে ধোঁয়াইয়ে দিতাম তাহার রাঙাচরন দুখানি।


মনের কথা কইবো কত ও প্রাণের সই,
আধার রাতে খাটের পরে এক জেগে রই।
জানতাম যদি বন্ধু আমার করিয়ে দিবে পর,
আশার বাসর সাজাতাম না মনেরও ভিতর।
বৃন্দাবনে নাচতাম না মুই নূপুরও পরে,
যতই বাজাক বাঁশের বাঁশি চলে যেতাম দূরে।
মনের মাখন খাওয়াতাম না নিয়ে অধরে,
সংসার ছেড়ে আসিতাম না  গোপন অভিসারে।
বৃষ্টি ঝরা মধুর রাতে ভাবি বসে নিরালাতে,
আসবে কবে আমায় নিতে বাসনা মোর এই হিয়াতে!


তাহার দুঃখে দিশেহারা দিনের রবি হচ্ছে তারা,
আসেনি সেই মনের মানুষ কার প্রেমে সে আত্মহারা।
কেমন করে সাজলে সখী আসিবে এই কুঞ্জবনে,
কোন সে ফুলের মালার টানে থাকবে বঁধুয়ার সনে।
নিরজনে বসে বসে ভাবি একা আপন মনে,
একদিন সখা আসিবে দেখো প্রেম মাধুর্য বৃন্দাবনে।
তাইতো সখী জেগে থাকি আর ঘুমাইনা নিশিরাতে,
দুজনাতে মিলবো আবার আছি তারই অপেক্ষাতে।
মনের কথা কই তোরে ওই ও প্রাণের সই,
আধার রাতে নিঝুম হেসে আমি একাই জেগে রই।