সহসা কহিলেন পিতা -
তোমার জন্য খোলা চতুর্দিক
এখোনো করোনি ঠিক !
তুমি বাছিয়া লইবে কোন দিক?
ধিক তোমারে ধিক ।
আমি কহিলাম করজোড়ে -
পিতা, আপনি হয়তো বা ঠিক।
তবে, আমি হাতড়েছি দিকবিদিক ।
কোনোটাই করে নাই ক্লিক।
যদি বাতলান ভাবিয়া খানিক,
কিভাবে পাইবো আমি বেতন মাসিক?
কহিলেন পিতা তুচ্ছার্থে হাসিয়া খিক খিক -
কহিয়াছি বারবার ,
বই পড়ো এন্তার ।
চেষ্টা করো, সরকারি নওকরি পাইবার।
উপরি, বেতন লইয়া জীবন হইবে পার।
মরিলেও চিন্তা কিবা? থাকিবে সরকার ।
বিনয়ী কন্ঠ উঠিল জাগিয়া, কহিলাম আমি -
পড়িয়া পড়িয়া জ্ঞান আর ধরে না ভান্ডারে,
কোন পাখি তা দেয় কোন আণ্ডা-রে ?
সরকারি খাজানা বিকিতেছে ক্রোরে
ক্রোড়পত্রে মুখ ঢাকে সরকারি ফোঁড়ে ।
যদি বা তলানী বাছিয়া পদ বাহির করে -
চড়িতেছে তাহা নিলামে, অতীব উচ্চ দরে ।
শুনি, দেখি কী খেলা হইতেছে দেশ জুড়ে ,
তারি মাঝে আছি আমি দেশেরে ভক্তি করে ।
আমি পাইলে মাসিক বেতন, ভাতা লইবে চোরে ।
এই আমি আছি ভালো পকেটে চিন্তা ভরে ।
আমার দোসর পাইবেন আপনি কাতারে কাতারে,
দিকভ্রান্ত হইয়া তারা রহিয়াছে কিণারে ।
শুনিয়া পিতা হস্ত বুলাইলেন নিজ মস্তকে ।
জিজ্ঞাসিলেন, "আমাদের হৃদয় থাকে কোন দিকে ?"
-"কারো বা বামে, কারো বা ডানে কারো বা স্থানান্তরে ।"