আবার ধর্ষিত হল মেয়েটি;
না; এবার আর সে রিপোর্ট লেখাতে যায়নি
ধর্ষক, গ্রামের এক ডাক্তার,
মেয়েটির বাবার অপারেশনের খরচ বহন করে ধর্ষণের অধিকারী হয়েছিল ।
মেয়েটিকে প্রথমবার ধর্ষণ করেছিল গ্রামের মোড়ল মশাই!
কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে,
ভাঙা মন্দিরটার পিছনে টেনে নিয়ে গিয়ে পৈশাচিক অত্যাচার চালিয়েছিল।
তীব্র যন্ত্রণায়, ক্ষত বিক্ষত শরীরে অনেক্ষন পড়ে থাকার পর,
নিজেকে সামলে থানায় রিপোর্ট লেখাতে গিয়েছিল, কিন্তূ পারেনি;
পর্দার ফাঁক দিয়ে দেখেছিল ধর্ষক ও থানার বড়বাবুর মদ্য পানের দৃশ্য!
প্রচণ্ড লজ্জায় ঘৃণায় আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল,
শয্যাশায়ী বাবার কথা ভেবে তাও পারেনি।
বাড়িতে এসে একটা বঁটি হাতে দৌড়েছিল ।
পরের দিন মোড়লের ছিন্নভিন্ন দেহ পাওয়া গেল রাস্তার পাশে ।
না; মেয়েটির শাস্তি হয়নি,
এক মস্ত উকিলবাবু তাকে নির্দোষ প্রমাণ করেছিলেন.
সেই রাতে মেয়েটি আবার ধর্ষিত হয়;
এবারে ধর্ষক; সেই উকিলবাবু !
মেয়েটির বাবা একদিন মারা গেল,
গ্রামের স্কুল মাষ্টার মশাইয়ের সহায়তায় মিড-ডে-মিল প্রকল্পে কাজ পেল মেয়েটি।
বাবার সমস্ত ঋণ পরিশোধ করবে ভেবে কাজটা করতে শুরু করে,
অবশেষে একদিন সমস্ত ঋণ শোধ হয়েযায়,
সেদিন মেয়েটির ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় ঘরের পিছনের আম গাছটায়।
তার শাড়ির আঁচল থেকে একটা চিরকুট পাওয়া গেল,
তাতে লেখা- “মাস্টারমশাই, আপনাকে দেওয়া কথা আমি রাখতে পারলাম না”!