বড়ই কুৎসিত মা তুই,
চেহারায় কত যে দাগ তোর -
চিহ্ন যত রোগব্যাধি বালাইয়ের,
আর গভীর ক্ষত কিছু, তোর ঘাঁ সব অতীতের।
তোর চেহারায় যেন সেঁটে আছে একগাদা কেদো ছাই -
এ কি ছাপ তোর অকাল বন্ধ্যাত্বের,
নাকি এ অলুক্ষণে প্রতিচ্ছায়া তোর কোনো এক কলঙ্কের?
কী বিশ্রী যে দেখায় তোকে –
তোর অবয়বেই তো আরো জীবন্ত ভেংচিকাটা দারিদ্র;
ভিন্ন শুধু তোর ওই দু'আঁখি,
মায়ার অতলে তোর নয়নে দরদী এক অন্তর আজো ঝলকায়,
আর এতেই রক্ষে,
দরদ দেখেই তোকে এখনো রমণী বলে চেনা যায়।
কী যে এক কুক্ষণে জন্মেছি আমি তোর কোলে!
আজ ভাবি বসে,
পাশের বাড়ির গিন্নি আমার মা হলে -
গর্বভরে ওঁরে মা ডেকে
সেরা নির্ঘাত হতাম আমি
সন্তানের কর্তব্য সব পালনে।
ও মায়ের তো সব আছে –
রূপ গুণ, ধনদৌলত;
সার্থক তাই জন্ম ওর সব সন্তানের
পেয়ে নিরাপদ ভবিষ্যত।
আর তোর সন্তানেরা?-
টোকাই হয়ে তো জন্মেছে –
খোরাকি আর ঠাঁই ছাড়া ওরা আর কি পেয়েছে?
কিসের টানে কুৎসিত তোরে ওরা আর মা ডাকে,
দত্তক হতে তোর সন্তানেরা তাই আজ দালান কোঠায় নতুন নতুন মা খোঁজে!