খুব বেশী তো চাইনি এ জীবনে -
যখন শরতের ফুরফুরে মেঘোমালা ভেসে বেড়ায় ওই নীলাম্বরে,
ওদের কাছে প্রত্যাশা আকাশের কি-ই বা থাকে?-
খুব বেশী হলে রুষিত মেঘের ঝরে পড়া ধরণীতে বরষা হয়ে!
কিন্তু আকাশ তো মেলে ধরে ওর অসীমত্ব মেঘোমালার তরে,
উন্মুক্ত বিহঙ্গের মত ওরা যাতে নীলিমায় ভেসে বেড়াতে পারে।

খুব বেশী তো আসলেই চাইনি এ জীবনে –
ঝরঝর ঝরণা যখন ঝরে পড়ে পাহাড় চিঁড়ে,
ওই জলোধারার কাছে পাহাড়ের কামনা কি-আর থাকে?-
বড়জোর জমে জমে সরবর হওয়া ওর পাদদেশে!
কিন্তু পাহাড় তো পাথর কেটে পথই দিয়ে বসে ওর চপল জলোরাশিকে,
কূল কূল স্রোতধারা নদী বনে ধেয়ে যেন যেতে পারে ওর দরীয়া পানে।

খুব বেশী কি চেয়েছি এ জীবনে?
চাঁদের কাছে সূর্যের প্রত্যাশা আর কি-ই বা থাকে?-
তবুও কি চাঁদ আঁধারে থাকে ওর কোনো এক পূর্ণীমাতে?
ধরণীর কাছে তো ধর্না দেয়-ই সকলে -
কত আশা, কত বাসনা, আকূল প্রার্থণা সকলই করে,
নশ্বর তো ধরণী, তবুও কি সে খালি হাতে ফিরায় কাউকে ধারণ ওরে না করে?

খুব বেশী তো চাইছি না এ জ়ীবনে -
আকাশের মত শুধু এক মন চাই যা আমায় অনন্ত দেবে
মেঘ হয়ে ওর বুকে ভেসে বেড়াব বলে;
পাহাড়ের মত এক অবলম্বন চাই যে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে আমাকে,
নিজেকে চিঁড়ে হলেও পথ করে ধেয়ে যেতে দেবে আমায় গন্তব্যপানে;
সূর্যের মত আলোকিত যে আমায় রাঙ্গাবে নিজ রঙ্গে,
আর আমি জ্যোৎস্নার মায়ায় ভেঁজাব প্রেমময় হৃদয় কাব্যের ছন্দে।
খুব বেশী কি চাচ্ছি এ জীবনে?
ধরণীর মতই শুধু একজন থাকুক, যে ধারণ করে নেবে দোষ-গুণের এই মানবেরে ওর অন্তরে,
জননীর মতই মায়াবতী হয়ে আমায় জল-মাটি-বায়ু সবই দেবে শুধু আমি বেড়ে উঠব বলে।


(ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। মাত্র লিখলাম, রিভিশান না দিয়েই সেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না।)