আমার তুমি আর তোমার তুমিতে বিস্তর ফারাক –
তোমার ঐ চোখ দু’টো তো দীঘি নয় কোনো জানি,
তবু আমি তো ঠিকই সাঁতরে ফিরি ওর নিকষ জলে,
আমি তো হারাই, ডুবে মরে যেতে চাই ওর গহীন অতলে।
ও যে তোমার আঁখি তা তো জানি,
তবে আমি যে টলমল দীঘি দেখি, ও দু’ নয়নে!
আমার তুমি আর তোমার তুমিতে আসলেই বিস্তর ফারাক!
হয়তো হবে তুমি সাধারন অতি এক রমণী -
শ্যামলা সরলা কাদম্বিনী;
অথচ আমি তো দেখি চপলা চঞ্চলা মায়াবী এক হরিনী –
মনোহরা, স্বপন সঞ্চারিনী –
অনন্যা অপরূপা এ যে আমার প্রণয়নী!
এত রূপবতী হয়তো তুমি নও জানি,
তবে আমি তো ঠিকই চেয়ে থাকি,
মুগ্ধ নয়নে, বিভোর মনে - চেয়ে চেয়ে শুধু দেখি,
দেবী যেন তুমি, প্রতীমা বিশেষ -
রবের নিখুঁত এক কারিগরী!
আসলেই বিস্তর ফারাক এই তুমি আর আমার তুমিতে –
চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই তোমার আর জানি,
যা তোমার দেবার ছিল, দিয়েছো আমায় সবই।
তবু আমি তো আজো মত্ত তোমার আরাধনায়,
পূজা অর্চনা, অর্ঘ্য আমার তোমাতেই নিবেদিত সবই!
আমার তুমি তো প্রণয়নী মোর, আমার প্রেমেরই দেবী –
আর তোমার তুমি তো অতি সাধারন, ব্যাস্ এক নারী!