কালা নাকি তুমি? বধির?
এত ডাকি! কত আরাধনায়, কত স্ত্ততি –
শুনতে পাওনা বুঝি?
এত কান্না, কত আহাজারী,
আর্তের চিৎকার, আর্তনাদের ধ্বনি -
শুনতে কি পাওনা তুমি?
ব্যর্থ তবে এত সূরা মন্ত্র শ্লোক?
কোরবানী বলি, যত পূজা ইবাদত?
নিঃশব্দ তোমার যেন নিস্তব্ধ শাসণ,
তবু করে যাই আমি নিমগ্নে যজন ।
কানাও নাকি তুমি? অন্ধ?
এত ব্যভিচার! কত অন্যায়, কত অবিচার –
দেখতে পাওনা নাকি?
দেখোনা তুমি? পাপের জয় উল্লাস?
মর্তে তোমার শয়তানের প্রলয় নাচ?
তবুও নির্লিপ্ত তুমি সত্যের পরাজয়ে,
করো কি তুমি নিপীড়িতের পরিত্রানে?
বিচারের বাণী আজো এখানে নীরবে নিভৃতে কাঁদে,
অন্ধই তুমি, তোমাকে কি আর তুলাদ হাতে সাজে?
ল্যাংড়া লুলাও নাকি তুমি? প্রতিবন্ধী?
এত দুঃখ! কত অন্যায়, কত অনাদর –
কিছুই কি করতে পারনা তুমি?
কত বলে রূপ তোমার, কত মহা শক্তি,
পড়ি তোমার গুনোগাঁথা নিয়ে পরম ভক্তি ।
আজো নিত্য বন্দনা চলে তোমার গির্জা মসজিদে,
পূজার্চণাও চলে শ্রদ্ধাভরে প্যাগোডা মন্দিরে ।
অথচ অন্ধ বধির তুমি!পুরোই নিষ্কর্মা!
ব্যর্থই থাকে মোদের সকল আর্জি, আরাধনা!
তবু দেখি এক বেহায়া তুমি, নির্লজ্জের মত -
এক প্রতিবন্ধী হয়েও প্রভূত্বের দাবী কর?
৮ জুন, ২০১৩