নছিয়তনামা
.....শাহজাহান পারভেজ রনি।

বিভৎস লাশের গন্ধ, বারুদ পোড়া মাটির গন্ধ
কালহস্তীর মাড়িয়ে দেয়া ফসলের গল্প
কবিকে লিখতে নেই।
কবিকে লিখতে হয়-
ফুলের কথা পাখির কথা
লাশ ডিঙ্গিয়ে জোৎস্নার কথা ,প্রেমিকার চিবুক ছুঁয়ে
একশ একটা নীলপদ্মের কথা।
কোন একদিন কোন এক আঁতেল কবিকে
এভাবেই নছিয়ত করেছিলেন জনৈক ভদ্রমহোদয়।

কবিতারও নাকি শৈশব থাকে,
কৈশোর-বয়ো:সন্ধি, যৌবন থাকে
যৌবনে পা দিয়ে যৌবতি কন্যার মতো উপসর্গ থাকে।
সহবাস ফেরত রমণীর মতো তৃপ্ত পরিণতির পর
বিরহে বিপ্লবে ভেতর বাটিতে অন্তক্ষরার রক্ত থাকে
অত:পর বয়েসী গা গতরে ছাইছাপা আগুনের যন্ত্রনা থাকে।
কাব্যদর্শনের এসব কথা এভাবেই বলেছিলেন
নছিয়ত প্রাপ্ত কোন এক আঁতেল কবি।

যদি সুযোগ হয় কোনদিন
জনৈক ভদ্রমহোদয় কিংবা উক্ত কবির সমুখে দাঁড়াবার,
কড়ি ফেলে ভুখার শুন্য থালায় ,
চিনিয়ে দেবো স্বশব্দ টংকারে দ্বলিত মানবাত্বা
শুনিয়ে দেব গগনবিদারী শব্দে
ভুখা ভিখীরির আজন্ম নছিয়ত নামা
"ভাত দে হারামজাদা! নইলে মানচিত্র ছিঁড়ে খাবো"।