আমাদের মা
ঘরের ভেতর বন্দী হয়েই তার কেটে গেল জীবনের তিন কাল
না আকাশ না পাখি না গায়ের সদ্য ভুমিষ্ট ছাগ ছানা
কিছুুই হতে পারেনি সে।
সেই কবে মেছুয়ার বিলে শালুক তুলেছে জল কাঁদা মেখে
পানকৌড়ি সেজে ডুব সাতারে ডুবেছে বেলা
ঘড়ি ঘন্টার দিন আসার কত কাল আগে সেই হাটের বায়োস্কোপ
মিঠাই মন্ডা আর গুড় বাতাসার দিন হয়েছে গত
আজ চারদেয়ালে বন্দী হয়ে তার সময় কাটে সঠিক গন্তব্যের ভাবনা ভেবে।
আদার-বাদাড় ঘুরে গুলতি টেনে পাখির আহত দেহে জল ঢালা দিনে
মাছরাঙ্গার ঘুড্ডি জল থেকে টেনে তুলেছে মাছ কঞ্চিতে কঞ্চিতে আয়েশি দুলুনি
দুরের কাঁচা রাস্তায় হঠাৎ আসা মোটর গাড়ীর ধুলোয় দৌড়ে-দাবড়ে বেড়ানো
স্মৃতি গুলো আজ কেবলই পুনর্জ্জন্মের স্বপ্ন দেখায় তাকে।
যদি আবার জন্ম হয় তবে এমনতর বন্দী হবে না সে।
আজ কোথাও কেউ নেই শুধু স্মৃতির প্রহরী গুলোই তাকে পাহারা দেয়
সকাল রাত এবং ঘুমে
বাপের ভিটা ছেড়ে এখনও মানুষটা মানুষ হতে পারেনি; বন্দী হয়েই কেটে গেল
জীবনের তিন তিনটে কাল এবং অনেক কাল শেষে একদিন
আবারও বন্দী হয়, চোখে লেগে থাকে পূনর্জ্জন্মের সপ্ন।