রাত্রির গভীরতা বাড়তে শুরু করেছে,
সাঁঝের তারা গুলো এখনও নেভেনি
ঝিঁঝিঁ পোকাগুলো নিঃশব্দে লুকোচুরি খেলছে।
এক পশলা বৃষ্টি, আমি চাইছি তোমায়-
তুমি আসবে তো?
স্বপ্নের গাঁথুনি বড় করেছি অনেক, অনেক বড়।
তমিস্রা বুঝি ঈর্ষা করেই আসছে না।
আমি কি যা-তা বলছি!
নিশির ঠোঁটে শিশির ছোটে, ভাগ্যে যে তার কিবা জোটে-
এমনি বলে যায় সে চলে নৈশ ভেবে ভুল সে করে... হঠাৎ
শিউরে উঠি... কোথায় আমি?
চাঁদ জোছনা, কেন বোঝনা একটুখানি
এমনিতে রোজ ফোটে পঙ্কজ বল...বল দিব্যি জানি।
তোমরা তো ভালই আছ। আমাকে দেখ
স্বপ্নিল চোখে বর্ণিল আভা মুছে গেছে সেই কবে
নির্ঝরিণী ঊর্মি থামায় বুঝি আমার কথাই ভেবে।
আমি অনস্তিত্ত, ভৃত্যের বেশে চাইছি তোমার কাছে
তোমার তো অনেক আছে, একটু আমায় দেবে।
আমি দিশেহারা, আমি নাগপুরা, আমি আড়ম্বর তো নই
কোথায় আমি বলতে পার, অদ্বিতীয়া কই?
দক্ষিন দ্বার আটকে বল উত্তর দ্বার খোলা
দুরাকাশের বাউটি বাতাস দিচ্ছে তবু দোলা।
বলি সুকুমার শোন বারবার লাভ হবে না তবে
স্বর্গের সুখ নর্কে যাবে, পৃথিবী নরক হবে।
হে আকাশ, হে বাতাস, হিমাদ্রি গিরি-গুহা,
বলতে পার কোথায়, কোথায় আমার অদ্বিতীয়া?
তুমি নিশ্চয়ই জান! বল... বল?
বলবে না?
তবে শোন আকাশ, শোন বাতাস- শুনে নাও ভালো করে
সেতো প্রতিমূর্তি আমার কাছে বাস করে অম্বরে।
অদ্বিতীয়াকে নিয়ে-
বর্তুলে নিশান উড়িয়ে হাঁকব জয়ধ্বনি,
কাঁপবে তবে বিশ্বটা যে শুনবে যে তর্জনী।