কোনো এক নিওলিথিক বর্ষে জন্মেছিলাম পালমিরায়,
রোমান সাম্রাজ্যের পূর্বাহ্নে, ব্রুটাসের প্রবঞ্চনার সমীপে।
বাণিজ্য ক্যারাভান আসা যাওয়া করত, মোহমাখা পথে,
হয়তো আমার পূর্বপুরুষ ছিলেন আরামেন কৃপাণধারী,
বিষণ্ণ ঘুরবেষ্টনীর ভেতরে যাত্রা করতেন লেভান্তের খোঁজে,
সমুদ্রবহ্নিমায়, উদ্ভাবনী শক্তির জাদুকরদের অধিরাজ্যে,
মেসোপটেমিয়ার প্রস্তিত ব্রোঞ্জের ঝনানিতে, বিজাতীয় ভাষায়।
ব্যাসল্টের পাথর ভঙ্গিমায় পূর্বতন পরিকল্পনার ছাঁচে,
এবলা ফলকের গভীর উক্তিতে, তত্ত্ব ব্যাখ্যানের ভঙ্গিমায়,
মনে ছাপ ফেলত গ্রিক দেবীদের অঙ্গবিক্ষেপের মধুময়তা।
শতায়ু জীবন কাটিয়ে দিয়ে লড়েছি কিছু যুদ্ধ, সন্ধিক্ষণে,
ওডেনাথুসের তুরুপের তোপে উড়িয়েছিলাম সাপুরধ্বজা।
জেনোবিয়ার দ্রোহের প্রকোষ্ঠে আমিই হাজির, সেই প্লেমেকার;
গোলিয়াথ রোমের বিরুদ্ধাচারণ ! নূতন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা।
অরেলিয়ান সম্মুখসমরে সহস্রমৃত্যুগামী ভ্রাতাদের শবে,
প্রকরণের আয়ুধশালায়, ওই কর্মকারের নেহাই প্রহরণে,
মূর্ছিত হয়েছিলাম অনাবিল আনন্দে, আমার শাণিত ফলায়।
ডিওক্লেটিয়ানের উপানতের আঘাতে ঠিকরেছিল কর্দম,
আমিও উপস্থিত গৃধ্রের বেশে, সূর্যক্ষরণের উড্ডীন পালে -
সোনালী প্রলেপে, আপন লহমায়, যার্হিবল-অগ্লিবলের তটে।