তুমি চেয়ে দেখ, মুখটি তুলে, এলোমেলো চুলে,
ওই উঁচু প্রাচীরের হারানো আকাশেরও ওপারে,
বাসা ভাঙা পাখিদের ক্লান্ত ডানার শ্লথ ঝাপটায়
কিছু হারানো লিপি, বাংলার নয়, ভেসে বেড়ায়,
দ্রাঘিমার সন্ধানে, অহর্নিশ চন্দ্রাতপে, কুসুমবৃত্তে।
যেখানে ট্রয়ের ভাগ্যসূর্য ডুবেছিল, হেক্টরের পিছে,
আকিলিসের পাদমূলে নিশানা হেনেছিল যুবরাজ প্যারিস;
মহাসম্রাট প্রিয়মের রক্ষার্থে, বিষতীর জ্যা মুক্ত করে।
নক্ষত্রেরা আজও রুদ্ধশ্বাস অবস্থান করে, নিরাকার ছাঁচে,
অস্থিবিহীন পাঁজরের ক্ষতে, বেদনায়, চিৎকার করে ওঠে।
ছায়াপথ পেরিয়ে যেখানে সান্ধ্যভাষা মুক্তি পেতে যায়,
দিগম্বর ত্রয়োদশ ঋষিমণ্ডলের অলৌকিক মহিমা বলয়ে।
যেখানে নৌকাডুবিতে শেলির নমনীয় স্বরের অবসান,
চাতক-ভরতের প্রতি মায়াবী ছন্দের অকুণ্ঠচিত্ত বিন্যাস;
মেঘের মাঝে অরাজকতার মুখোশপরিহিত সেনাদল;
পশ্চিমা বায়ুর প্রবাসী প্রবাহের মনখারাপের কোমল গান;
স্পেন্সারিও স্তবকে, অনন্য শব্দচয়নে, কিটসের শোকগাঁথায়;
ভার্জিলের বিউকলিক স্বরমাধুর্যে গ্রথিত জীবনচিত্র-যবনিকা।
তোমার নিমীলিত পলকে নিরুদ্ধ কিছু ছবি, কথা, স্বগতোক্তি,
যার স্মৃতিস্মরণী বেয়ে অবগুন্ঠিত প্রত্যাশা, হারানো বেলার বিলাপে।