মেঘচন্দনে লুপ্তপ্রায় সুষুম্না স্নায়ুকান্ড, অলৌকিক দীপ্তি,
বারিসংযোগে যোগাসনে রূঢ় ফলিতজ্যোতিষ পন্ডিত।
গুরুগম্ভীর সংস্কৃত বন্দনায় টলায়মান লৌহকপাট,
হীরক-পদ্মরাগমণির আভাসে উদ্ভাসিত পারিপার্শ্বিক।
ফেনিল পুষ্পিত সৌরভ, অগুনতি মৃৎকপটের বেষ্টনে,
অন্দরমহলে জ্বলেছে দেউল, মন্ত্রের মননশীল স্তবে।
যুক্তকর সহস্রাধিক ভক্ত অর্ঘ্য প্রদান করে, কর্পূরসোহাগে,
চামর দোলনে, তীর্থস্থানের পবিত্র সলিলে, কাষ্ঠপাত্রে,
ঐকতানে সমন্বিত হয় সহস্র ঘন্টাধ্বনি, অঞ্জলি পত্রপুটে।
শত ফল-শর্করা-ইক্ষু-দ্রাক্ষার আয়োযোগে পূজিত দেবতা;
দেবালয়ে অর্চকের রক্তচক্ষে অসংযমের কোনো ক্ষমা নেই,
দৈবশক্তি তার অন্তরে বিরাজমান। সর্বশক্তিমান যে বিধাতা,
তার অস্তিত্ব আজ সংকটে, ঈশ্বর-আল্লাহ-গডের বিরোধে,
নিরীশ্বরবাদীর যুক্তিপূর্ণ ইঙ্গিতে, বিজ্ঞানের বিদ্রূপান্বিত অনুসিদ্ধান্তে;
সংস্কৃতির ভীমালিঙ্গনে, রক্ষণশীল মার্জিত রুচির অনুশীলনে।
প্রাজ্ঞকুল ও নবীর বাগাড়ম্বরে, দ্ব্যর্থক কল্পনার অন্ধ অনুগমনে,
অদ্বয়বাদী দর্শন, গোডেলের তত্ত্বীয় প্রতিপাদন, পেনরোজের চেতনাতত্ত্ব
উপেক্ষিত, অধ্যাত্ম আজও দ্বিধান্বিত সুরাসুরের সমাবর্তী দ্বৈবিধ্যে।
সৃষ্টির মধ্যস্থ যে প্ৰাণেশ্বরের বেদী, তাতে ভ্রমর আনে মাধবীপল্লব,
তিমিরভেদে, পতঙ্গপঙ্খের প্রত্যুষের আশায়, নূতন কুসুম উন্মেষপেক্ষায়।