চন্দ্রকিরণে সুদূর স্পর্শ করি,
প্রত্যক্ষ করি কোমল শিশিরবিন্দু,
আমার দুই বাহু আজ দিগন্ত-প্রসারিত,
জানতে চাই নিশালোকের রহস্যময়ী অস্তিত্ব।
সম্পৃক্ত বাতাসে স্বপ্নালী পরীরা ভাসে,
স্তম্ভিত আমি দেখি ডাইনে ও বামে,
একবুকভরা বাতাসে উদ্দীপ্ত হই,
মধ্যকল্পনাস্রোতের তরঙ্গ ভেদ করি,
তড়িৎচুম্বকীয় বৈভবে নিজেকে করি স্থাপন।
অঙ্গুলি জ্বলে যায় অপরিচিত অনলে,
গরল পানে ব্যস্ত আমাদের এই প্রিয় উষরপ্রান্ত।
মস্তিস্কক্ষরণে স্নায়বিক উত্তেজনা ত্বরান্বিত,
সুদীর্ঘ স্কন্ধে স্থাপিত হয় সিংহকেশরী।
অপূর্ণ থাকে মুক্তির বাণী, স্বাদ, গীতি ও স্বদেশ;
মৃতসাগরের কোলে সহমরণে সতী স্খলিতা নদী।
জটিল সব বন্ধন ভাঙতে চায় সৃষ্টির পরমাণু,
পরমালোকসাগরের আলোকজটার নিধন সংস্পর্শে,
ভোরের আঘাতে সূর্য্যজিহ্বার তীব্র লেহনে,
আমাদের জীবনলেখ উন্মুক্ত, দ্রবীভূত ওই কুয়াশায়;
অবলোহিত রশ্মির এক মুঠি লেখা ভাসে ধানের শীষে।