মাধবী পূর্ণিমায় গর্ভমন্দিরের অনন্ত অপেক্ষায়
রাতপাখি ওড়ে একটুকরো অনঘ তারার খোঁজে।
মুক্তোর মতো প্রস্ফুটিত প্রিয় আনন, মোলায়েম
চন্দ্রগহনে বিচলিত সুমেধাকর্ষক নিরঞ্জনা সমীরণে।
অন্তরের ওই হাতছানিতে বিকশিত মালতিফুল,
শিশিরের শয্যায় শায়িত ভিজা কাঠের আগুন।
সেই সাগরের সুর ভেসেছিল চাঁদমাখা আম্রপল্লবে;
দুয়ারে অব্যক্ত হাতছানি, বিগতের অতৃপ্ত আত্মার।
অশ্বত্থের পাতায়, মোরাম বেছানো ওই সংকীর্ণ পথে,
হয়তো কোনোদিন হেঁটেছিলেন উদাসী বিভূতিভূষণ,
স্বাতী নক্ষত্রের আলোয় অপু-দূর্গারা কাশবনে খেলে বেড়ায়।
এ ফঙ্গপানি মন, বিবর্ণবিস্তারে উদাস করে দেয় সমগ্র দিক্পট;
ক্ষুধার্ত বুভুক্ষু বৃকের ন্যায় গ্রাস করতে চায় দেদীপ্যমান সুরা।
আনন্দ অঙ্গনে প্রাচীন প্রদীপের তাপে রিক্ত বেহুলার মিলনপত্র।