ষোলো হাজার ফুটের লাঘব বাতাসের
ঠান্ডা প্রবাহে নদীটিও কলকলিত, উচ্চস্রোতে,
পর্বতারোহীর সিক্ত মৃতদেহ ভেসে চলে যায়,
অন্য উপকূলে, হয়তো গিয়ে মিশবে টেথিস সাগরে।
হিমচূড়া সমন্বিত শৈলের রৈখিক বিন্যাস,
আর মেঘের চাদরে ঢাকা প্রস্তরযুগীয় জীবন,
আমায় ডাকে, চাহনিতে, আলগা কথায়, অনুচ্চারিত কলকলে।
পর্যটক ভিউপয়ন্টের সেলফিগুলি কখনোই নয় অব্যয়;
নিসর্গের চিত্রফলকের সীবীত নিষ্কলঙ্ক প্রতিকৃতির মত।
একটা একটা করে পার হয়ে যায় দিন,
আমার ফসিল হৃদয়ে বসন্ত এলনা আজও;
রডোডেনড্রন ফুটে রাঙা, অযত্নে, পাকদন্ডীতে,
পাহাড়ি কুয়াশায়, ত্রিফলা বাতির অস্পষ্ট আলোয়;
বৈদ্যুতিক তারের করোনায় আয়নিত মতিভ্রষ্ট মন।
ভ্রষ্ট পরিকল্পনার অসফল প্রয়াসে, কালো কফির তাপ,
হাতের আঙুলে দীর্ঘস্থায়ী তিক্তমধুর স্বাদের রেশ,
আজ আমি ক্লান্ত, আমার দেহের বর্ণমালায়, ছোঁয়ায়,
কুয়াশায় দূরাশাভরা স্বপ্নে মিলিয়ে যায় রাতপরী।
হয়েও না হওয়ার কিছু অম্লাণ প্রেমের কবিতা, গল্প,
মোহরকুঞ্জের ওই বালক বালিকার চুলে বিলি কেটে বেড়ায়।