একটা অচেনা হাওয়া কষ্ট মিলিয়ে দেয়,
অনেক দিনের জমানো ধুলোবালি উড়িয়ে।
অবাক করা ভালোলাগা চৌকাঠ পেড়িয়ে,
বুঝতে শেখায় ভালয়াছি দেবদারু হয়ে।

অশান্তির শান্তিতে থাকা জোছনার মতো,
চোরকাঁটা আর শাড়ির প্রেমের মতো।
চিলেকোঠায়, আয়নায়, টিপে সমস্তটাতে
আঠার মতো লেগে থাকে হঠাৎ ভালোলাগা!

নাহয় হলো ডুবসাঁতারে প্রেম,
তাই বলে কি পাড় পাবেনা আর!
নোনা ডাঙার বিল পেড়িয়ে আসা,
সূর্য স্নান শরীর ক্লেদে মাখা ।

নাহয় হলো ক্ষ্যাপাটে অন্ধকার,
তাই বলে কি ইন্দ্রজালে আছি?
রোজ সকালে পাপের বীজাণুতে,
ক্লান্তিভরে চাঁদের আলো খুঁজি।

এমন করে ঢেউ এসে ফিরে যায় বহু দূরে,
তালগাছটাকে সাক্ষী করেছিলে কোন জ্ঞানে!
বজ্র সোহাগ উথাল বুকে নিংড়ে রেখেছিলি,
ঘোড় বিপদ মানুষ হয়ে ভালবেসেছিলি।

হট্টমেলায় ছুড়ির ফলা প্রান বাঁচিয়ে মারে,
ভালুকের জ্বর শুনছি ভালবাসায় সারে!
রূপোলী চাঁদর এবার পাল বানিয়ে চলো,
ভালোবাসা ভালোবেসে ভালোভাবে ভেসো।