আমার মালিনী বাগানের গোলাপটির আজ জন্মদিন,
তার একুশ বছরের যৌবন, হঠাৎ-ই
লজ্জা দিল বাগানের কাঠঠোকরাকে,
তারপর...., তারপর সেই চীরকালিন বিষন্নতার একশেষ।
.
এমনিই চলছে,চলে যাবে- হয়তো আরও একলক্ষ বছর,
হয়তো বা মনে পড়বে একের চার ভাগের ইতিহাস---
তারপর...,তারপর দূরন্ত পাখির মতো চোখ নিয়ে
খুঁজে চলা,খুঁজে চলবো, খুঁজে চলেছি----
.
আজ আমার পায়ে শৃগালের অস্তিত্ত্ব,
চোখে-ভরা দূরন্ত অনুভূতির ঢেউ,
কখনো বা অস্তিত্ত্বের সংগ্রামের মতো কন্ঠশ্বর-
ঢাকা দিয়ে যায়, ঢাকা দিয়ে যাচ্ছে, ঢাকা দিয়ে চলবে--
বাস্তবতাকে।
.
তবু সেই বাস্তবতার মধ্যে-----
যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিবন্ধি সৈনিকের অসহায়ত্বের মতো,
গোলাপগুলির হঠাৎ-ই জন্মদিন হয়,
আর লজ্জা দিয়ে যায়, লজ্জা পেয়ে যায়---
কাঠঠোকরাগুলি।
তারপর অলস বাছুরের মতো, অলসতা ছেড়ে
হঠাৎ-ই লাফিয়ে ওঠে একমুহুর্তের ফুর্তিতে,
এবং অনুভূতিও শব্দ করে ওঠে - ঠক্ ঠক্ ঠক্
-বাকিটা ঠকানো, বিষন্নতা।