সে ক্রীতদাসের জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল।
তার বুকের জ্বলন্ত আগুন খুঁজছিল:
মাথা গোঁজার মতো একটি বক্ষ,
অনেকদিন সে কোনো কোমল স্পর্শ পায়নি;
এমনকি কোনো কোমল শব্দও শুনেনি বহুদিন।
একদিন সে জীবনের পাতা উল্টে বেড়িয়ে পরে;
কোনো এক মেয়েমানুষের ডাকে-
একগুচ্ছ দুর্লঙ্ঘ্য পরিখা পার করে চলে যায়,
একরাশ বৃষ্টি মাথায় করে সে বুনেচলে
প্রথম থেকে শেষ পাতার, এক বিরাট বিনুনি।
সেই শব্দ জট খুলে দেখার কেউ নেই,
যার ডাকে সে গিয়েছিল, সেই ডাকিনি
তার সমস্ত যৌবন রস পান করে ছেড়ে দিয়েছে।
এক বদ্ধ ঘরে সে গুমরে কাঁদে,
পূর্ণিমার আলো এসে লাগে তার চোখে;
এখনো সব শেষ হয়নি
যা আছে তা দিয়েই নতুন গল্প লেখা যায়।