দিগন্তে ফিকে হয়ে আসা আকাশে
সূর্যকে মুছে দিয়ে গেছে
শঙ্খচিলের ডানা।
রাস্তার যানজট কমে এসেছে ধীরে ধীরে
একটা দমকা হাওয়া এসে ধুলোর চাদর -
টেনে নিয়ে যায় পথের শেষ প্রান্তে।
আকাশ ঢাকে কালো চাদরে
চমকায় বিদ্যুৎ, জোরে জোরে
কুয়াশার মতো নেবে আসে বৃষ্টি সন্ধ্যা নিয়ে।
উঠে গিয়ে দাঁড়াই পাশের দোকানে।
এক কাপ চা নিয়ে;
তাকিয়ে থাকি বৃষ্টি আঁচড় কাটতে থাকা শহরের দিকে।
ল্যাম্প পোস্টের হলুদ আলোর নিচ দিয়ে ছুটে আসছে ওরা;
শক্ত করে ধরা হাত, বৃষ্টি ভেজা শরীর।
বসলো এসে সামনে রাখা বেঞ্চটিতে:
কাঁপতে থাকা হতে
চায়ের কাপটি নিয়ে মেয়েটি বললো - "ইশ একদম ভিজে গেছি"
পাশ থেকে উত্তর আসলো - "তুমিই তো চেয়েছিলে ভিজতে,
এখন কাঁপো বসে বসে"
এক গাল হাসি ভেসে গেলো মেয়েটির মুখে।
সহজ কাব্যের মতো স্পষ্ট একরাশ প্রেম।
বছর পাঁচেক আগে এমনই এক সন্ধ্যায়
চায়ের সন্ধানে আমারও এসে বসেছিলাম এখানে।
এমনি ভিজে একাকার দুজনে;
তারপর যখন বৃষ্টি থামে
গল্পের শুরু কোথায় ছিল
মনে ছিলনা কারোর'ই।
কে বেশি বকে তা নিয়েও চলত তর্ক!
সেদিন প্রশ্ন করেছিলে - "যদি হারিয়ে যাই কখনো কি করবে?"
আমি এক কথায় উত্তর দিয়েছিলাম - "অপেক্ষা"
আজ কেটে গেছে পাঁচটা বছর অপেক্ষা থেকে গেছে অপেক্ষা'ই!
"চলো থেমেছে বৃষ্টি"- বললো ছেলেটি।
ঘোড় কাটলো আমারও।
হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে মুছে গেলো ওরা
পথের বাঁকে।
সেই সন্ধ্যা হয়তো পড়েছে চাপা সময়ের ভিড়ে
তবে যায়নি মুছে।
এমনই কোনো সন্ধ্যায় এদের মত
আবারও করাও আসবে
ইতিহাসের পর্দা টেনে দিতে।
তোমার দেওয়া হাতঘড়িতে তাকিয়ে দেখি
বেজেছে সাড়ে আটটা
শেষ বাস ছেড়ে গেছে এতক্ষণে,
গোটা পথ হাঁটতে হবে একই।