পলাশ কুঞ্জে ফুটেছে পলাশ
কোকিলা ডেকেছে কুহু
অসমীয়া মেয়ে শ্রীরাধিকার বেশে
মাতিয়ে দিয়েছে বিহু
শান্তিনিকেতনে আবির উড়ছে
বসন্ত মুখর উৎসব প্রাঙ্গনে
যে তুমি দাঁড়িয়ে রয়েছো সোনাঝুরির হাটে
সেখানে ঢুকেই বাম দিকের প্রথম দুটো দোকান পেরিয়ে
এই ছোট্ট মেয়েটি পসরা মেলে বসেছে
ও আমার খুব চেনা ।
আমাকে দেখেই বলেছিল -
"ও দাদা এই রবি ঠাকুরের ছবিটা কেনো"
ও আমাকে ঠিক ভুলে গেছে ।
ক্ষণিকের আমাকে মনে পড়া তুমি, ওর কাছে যেও
তোমার তো দয়ার শরীর
আমার মত অপাংক্তেয়কে তুমি আগুন চেনাতে পারো
আর ওর কাছে কিছু নিতে পারবে না
এ আমার বিশ্বাস হয় না
কয়েকটা টাকার বিনিময়ে কিছু কেনো ওরই জন্য।
ওখান থেকে কঙ্কালীতলা যেও
সেখানে গেলে অদূরে কোপাই
এখন বোধহয় আর জল নেই
শীতের শুরুতেই ওর রোগীর অবস্থা।
মায়ের মন্দিরের পাশে সতীকুণ্ড
সেখানে নেমে একটু মাথায় জল দিও
সবাই বলে সব অসুখ সেরে যায়
মোহিতের শান্তি আসে অশান্ত মনে
আমি দিইনি , তাই হয়তো ছুটে বেড়ানোর
অসুখ নিয়ে ছুটে বেড়াই প্রান্তরে প্রাণান্তরে
যে পথ দিয়ে কঙ্কালীতলা এলে
যেখানে ভিক্ষার জন্য ভিখিরিরা বসে আছে
ওখানেই বাম দিকের প্রথম বটগাছের তলায়
বসে নাক দিয়ে আপন মনে বাঁশি বাজাচ্ছেন এক সাধু...
নিরলস ...
ভক্তিমুখর সেই প্রাঙ্গনে মেঠো সুরের মূর্ছনায়
আমি যে সেই কবেই ভেসে গেছি
ওনার কাছে বসেও আমার খোঁজ পাবে না ।
শান্তিনিকেতনের বুড়ো বটগাছের কোনো লুকানো অলিন্দ থেকে
তোমার আনন্দ দেখছি ।
বসন্ত দিন - তুমি - শান্তিনিকেতন
তোমার সঙ্গে ও কে ?
কে তোমার গালে ছুঁইয়ে দিল ফাগুনের আগুন রাগ ?
আমি? আমি তো না!