কাকে যেন দেখলাম
কেমন যেন দেখলাম
ঠিক তারই মতন।
সেই কিনা জানি না!
তবুও মনে হল সে'ই ছিল।

বরাবরই হাসি মুখখানা তাঁর
কিন্ত আজ ছিলো খুব গম্ভীর।
গলায় তাঁর স্বর্ণচেন!
লাবণ্য ভরা উজ্জ্বল চোখ।
তাঁকে দেখে মনে হয়
তার রূপের কাছে হেরে যাবে পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ-ক্লেশ।

কাকে যেন দেখলাম
তাঁকে কী যেন দেখাচ্ছে
আমার দিকে আঙ্গুল দিয়ে
আমাকেই কি?
ঠিক তাই মনে হল
কিন্তু আমাকে দেখাতে যাবে কেন?

আমি তো
কখনোই প্রিয় হয়ে উঠতে পারিনি।
কখনোই মনের মতো হতে পারিনি।
তবুও সে নাকি ভালোবেসেছিল নীরবে ক্ষণকাল
কিন্তু কখনোই তা বলেনি।

সে হয়তো
এখনো আমাকে ভালোবাসে;
অদ্ভুতভাবে বলে উঠতে পারে না।
যদি আমি পাগল হয়ে যাই
মহাপ্রলয়ের ভয়ে।

আবার নাও ভালোবাসতে পারে
সবাই বলে
এটা নাকি আমার একতরফা চাওয়া।

যদি তাই হয়
হৃদয় কেন গোপনে কাঁদে তাঁকে হারোনোর ভয়ে।
তবে কী সে এখনও আমায় ভালোবাসে-
আগেরই মতন নীরবে।

আজকাল ভালোবাসায় নাকি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়
তাহলে তো আমিও কারোর প্রতিদ্বন্দ্বী
একইভাবে সেও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী।
কিন্তু আমি কখনোই হারিনি নিজের কাছে।

তাঁকে যেন দেখলাম
অদ্ভুতভাবে কী যেন ভাবছে।
আগের থেকে অনেকটা রোগা হয়ে গেছে সে
কেমন যেন সদ্যজাত ভূমিষ্ঠ শিশুর মায়ের মতন।

বহুকাল তাকে হাসতে দেখি নাই
বহুকাল তাঁর কান্না শুনিনি।
তেজস্বী কণ্ঠে আর বলতে শুনি না,
আমি অনেক বড় হব, আকাশটাকে ছোঁবো-
আমার চোখে হাজারো স্বপ্ন আছে।

যাকে একটু আগে দেখেছিলাম
ঠিক তারই মতন
একটু পরে হঠাৎ দেখি সেই তো।
সে আজ অনেক বড় হয়েছে
আমার থেকে সরে দূরে।

আফসোস হয় আমি যদি নক্ষত্র হতাম
জ্বলে থাকতাম,আকাশের বুকে ওই দূর শূন্যতায়…
তার অপেক্ষায় অপেক্ষমান পথিক হয়ে।