আজ তোমার রূপের বর্ণনা করতে বসেছি প্রিয়তমা,
কোন দিক দিয়ে শুরু করি বলোতো!
সেদিন পড়ন্ত বিকেলের সোনা ঝরা রোদ্দুরে,
যে রূপের ছটা দেখেছিলাম!
ঝর্ণার বুকে রামধনুর রং এর মতো বর্ণিল রূপ,
আঁধার রাতের জোনাকির আলোর মতো স্বপ্নময়ী রূপ।
যে রুপে আমি হারিয়েছি আমার সম্ভ্রম,
ভূলে গেছি আমার ব্যাক্তিত্ত্ব।
মুহূর্তেই বিসর্জন দিয়েছি,
আমার আবেগ-আমার অনুভূতি-আমার সর্বোস্ব।
নাকি; যে রূপ আমি নির্ঘুম মধ্যরাতে দেখি!
যে রূপ আমি ঘুমের ঘোরে জেগে উঠে দেখি!
যে রূপ আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন স্বপ্নে দেখি!
মনে পড়ে প্রিয়তমা !!!
সেদিনের বীনাপানি আরাধনার গোধূলি বিকেলে তোমায় প্রথম দেখেছিলাম।।
পড়ন্ত আলোয় পৃথিবীর সমস্ত স্নিগ্ধতা তোমার মুখে পড়েছিল,
অসম্ভব মায়াময়ী করে তুলেছিল তোমায়।।
সেদিন তুমি আমার পছন্দের নীল শাড়ি পরেছিলে,
কপালে নীল আর লাল মিশিয়ে টিপ এঁকেছিলে।
তাঁকিয়েছিলে একপলক; কাঁজলে আঁকা ভ্রুর ফাঁকে ঝিলের মতো গভীর দুটি চোঁখে,
হালকা টোল পড়েছিল লাজে রাঙা গালের মিস্টি হাসিতে।।
নাকের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছিল ছোট্ট একটা নথ,
লাল রং এর তুলিতে সেজেছিলো নির্বাক দুটি ঠোঁট।
চলার ছন্দে কানে দুলছিল ঝুলন্ত সোনালী দূল,
বাতাসে উড়ছিল শ্রাবণ মেঘের মত ঘনকালো চুল।।
নকশীকাঁথার মতো মেহেদী আঁকা দুটি হাত,
একডজন কাঁচের চুড়িতে সেঁজেছিল।
গলায় পরেছিলে রাজকন্যে; সাদা মুক্ত মালা,
শাড়ীর উপর দিয়ে লাউডোগা সাপের জড়িয়েছিল শ্বেত পুথির কোমর বিছা।।
হেঁটেছিলে নরম ঘাসের উপর; ছন্দ মধুর,
আর আলতা রাঙা পায়েতে ছিল রুনঝুন নুপুর।।
চোঁখ ফেরাতে পারিনি সেদিন প্রিয়তমা,
এক ঝলক দেখেই পড়েছি প্রেমে।
মনে হচ্ছিল বার বার দেখি,
আর ঐ রূপের আগুনে পতঙ্গের মত ঝাপ দিই,
পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যাই।
মূহুর্তেই ভূলে যাই আমার অধিকার,
আমার সম্ভ্রম,
আমার ব্যাক্তিত্ত্ব।।