তোমার বিরহ আমায় ছুতে পারেনি প্রিয়তমা,
রাধিকার মতো গলায় পরেছি কন্টক মালা।
তুমি আসবে বলেই অগনিত বছর মোড়ের বটগাছটির তলায় বসে থেকেছি ,
অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি।
ফাগুনে ফুলের বিছানা সাজিয়ে একাকি বসে থেকেছি,
প্রদীপের আলো জ্বেলে ছোট্ট কুঠিরটাকে মায়াময় করে রেখেছি ।
তুমি আসার পথে নরম দূর্বা বুনেছি,
লাল বেনারসি খানিতে জরির নকশা কেটেছি।
মাটির ঘরে লক্ষীর আল্পনা এঁকেছি ,
ফুলের বিছানায় গোলাপ জল ছিটিয়ে দিয়েছি।
জয় গোস্মামীর কবিতার বই খুলে রেখেছি,
ছাদের কার্নিশে মধ্য রাতে আচমকা মিলনের প্রতিক্ষায় থেকেছি।
আলতা রাঙা পায়ের মাপে বনফুলের নুপুর গড়েছি,
উঠানের পূব কোনের আমগাছটায় দোলনা ঝুলিয়ে রেখেছি।
খোঁপায় গুজে দেব বলে লাল কৃষ্ণচুড়া এনে রেখেছি,
গান শোনাবো বলে বসন্তের কোকিলটাকে বেঁধে রেখেছি।
রং তুলিতে রাঙাবো বলে আড়ালি বিল থেকে কচি পদ্ম তুলে এনেছি,
শেষ রাতে শীতল হবে বলে মকমলের চাদর বিছিয়ে রেখেছি।
তবু তুমি আসোনি প্রিয়তমা- আসবেওনা জানি,
এভাবেই তাই প্রতিক্ষায় কেটে যাবে ব্যার্থ জীবনখানি।