কিচ্ছু যায় আসে না
জানিস এখন আমার কিছুই যায় আসে না,
তুই হাঁসলেও না - কাঁদলেও না।
কার সাথে কথা বললি,
কার সাথে ঘুরতে গেলি!
কতবার মনে করলি,
কতটা ভালোবাসলি!
হোয়াটসঅ্যাপে কি স্টেটাস দিলি,
ফেসবুকে কি ছবি ছাড়লি!!
কিচ্ছু যায় আসে না।
কিছুই যায় আসে না।।
এখন তোর সাথে নিয়ম করে কথা হয়না রোজ,
আমিও আর নিতে চাইনা তোর খোঁজ।
একটা সময় খুব খুঁজেছি জানিস,
প্রিন্সেপ ঘাটে,
গঙ্গা ঘাটে বাঁধা নৌকাতে,
কিম্বা খিদিরপুর গামি স্টিমারে।
অনেক খুঁজেছি তোকে,
বঁনগা-রানাঘাট লোকালে,
শিয়ালদহ স্টেশনে,
বাবুঘাটে,
পার্কসার্কাসে,
হাওড়া ব্রিজে,
কলেজ স্ট্রিটে।
বাসের মহিলা সিটে,
ট্রেনের খিড়কিতে,
অথবা মেট্রোর টিকিট কাউন্টারে।
অনেক খুঁজেছি তোকে,
শিশির ভেজা ক্যানভাসে,
জটিল অঙ্কের সমাধানে,
সিনেমা হলে,
শপিং মলে।
ফুটপাতে,
কিম্বা বেলকনিতে।
জনসমুদ্রের কোলাহলে,
কিম্বা নির্জন নদী তীরে।
অসম্ভবনাময় বাস্তবে,
কিম্বা রুপকথার দেশে।
অনেক খুঁজেছি জানিস,
রংনম্বের অপরিচিত কন্ঠে,
অচেনা কারো করুণ মুখে।
কারো নুপুরের ছন্দে,
অথবা ভেজা চুলের গন্ধে।
কারো হাসির ঝিলিকে,
অথবা ছলছল নয়নে।
অনেক খুঁজেছি জানিস,
ঝুলন গোস্বামীর ব্যাটে,
সানিয়া মির্জার টেনিসে,
মমতাজের তাজমহলে,
দিল্লির রাজপথে,
আর ট্রয় নগরীর ধংস স্তুপে।
অনেক খুঁজেছি তোকে,
অ্যাসিডে পোড়া নারীর হলুদ শরীরে,
বিষাক্ত নীল মুখে,
ধর্সিতা যুবতীর সতীত্ত্বে,
খুন হওয়া বালিকার নিথর দেহে,
আর কুমারীর অভিসপ্ত গর্ভে।
কোথাও পাইনি জানিস,
কি করে পাবো বল!
ঢের বুঝেছি আমি,
আর যাই হোক তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না;
যে নীজে থেকে হারিয়ে যায়।
নাটকের অংকটা ঠিকই থাকে,
শুধু চরিত্র গুলো বদলায়।