অনেক দিন কবিতা লিখিনা,
অনেক দিন নীরবে কাদিও না।
কবিতাকে যে পুরুষ,
আপনার থেকেও বেশি ভালোবেসেছে,
প্রিয়তমার চেয়েও বেশি আপন করেছে,
তার আজকাল আর কবিতা লেখা হয়না।
অশ্রুকে যে তার লাল কলমের কালি করেছে,
কোনো বালিকার আঁখির কাজল তার কিবা করতে পারে!
কোনো যুবতীর ভরাট যৌবন তার কিবা উপকারে আসতে পারে!    

অনেক দিন কবিতা লিখিনা,
আজকাল লিখতেও ইচ্ছে করে না।
কবিতার ছন্দ খুঁজে পাই না,
কবিতার গল্পও এখন আর তৈরী হয় না।
যে জীবনে নারীর প্রেম নেই,
যে জীবনে ষোড়শীর চলার নুপুরের ছন্দ নেই,
প্রকৃতির অকৃপণ আবদার নেই,
ধ্বংসের করুন মিছিল নেই,
শিশুর আর্ত চিতকার নেই,
নারীর শরীরের ভ্যাপসা গন্ধ নেই,
সে জীবন আর যাই হোক,
কবির জীবন নিশ্চয়ই নয়!

অনেক দিন কবিতা লিখিনা,
লিখতে বসলেই ঘামে ভিজে যায় খাতা।
দুই লাইন লিখতে বসলেই বড্ড ঝিম ধরে,
ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যাই নিশাচরীর মতো।
অশান্তির বাও বাতাস বয়ে যায় বুকের লোম ছুয়ে,
পুড়ে যায় চেনা সিগারেটের শেষ ফিল্টার,
ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায় চেনা স্মৃতি,
হঠাৎই ভরা খাতাটা খা খা করে ওঠে,
খরা বিদ্ধস্ত বালিয়াড়ির মতো ঝড়ো বাতাসে ঢাকা পড়ে যায়,
সদ্যোজাত দুই পঙতি অগোছালো কবিতা।।

অনেক দিন কবিতা লিখিনা,
কবিতার ছন্দ ভূলে গেছি,
কবিতার মলিনতা রুক্ষ হয়ে গেছে,
সমতল হারিয়ে গেছে মরুভূমিতে,
অরন্য তলিয়ে গেছে সাগরে,
জোয়ার ভাটার মত প্রেম লুকিয়ে গেছে চাঁদের কলঙ্কে,
প্রেমে আজ আকর্ষণও নাই,
বিরহও নাই।
প্রেমের সোহাগ চুরি করেছে জ্যোৎস্নার চাঁদ,
প্রেমের আবেগ চুরি করে নিয়েছে মায়াবী রাত।
প্রেম আছে প্রেম নেই,
ভূলে যাই,
একদিন আমি কবি ছিলাম,
প্রেমিক ছিলাম।
এখন আমি কবিতা লিখতে পারিনে,
এখন,
আমি প্রেম আমি ভালোবাসা,
আমি মানুষ নই।
আমি কবি নই।।
আমি যুগে যুগে ছিলাম,
আমি আছি
আমি থাকবো,
অন্য রূপে
অন্য কোনো ঠিকানায়।।