যে জীবনে ক্লান্তি নেই,
সে জীবন জীবন হতে পারে না।
ঘর্মাক্ত কৃষকের ঘামে,
পরিশ্রান্ত শ্রমিকের রক্তে,
কোনো ক্লান্তির অনুভবতা নেই।
দিনের পর দিন,
মাসের পর মাস,
বছরের পর বছর,
তার ঘামে ভেজা গামছায়,
কোনো নারীর শীতল পরশ লেগে থাকে।

শ্রমজীবী মানুষের রোজকার ক্লান্তি নেই,
অথচ শান্তি আছে।
সততার শান্তি,
নির্ভেজাল রক্ত জল করা উপার্জনের শান্তি ।
ঘুষের টাকা বালিশের তলায় নেই,
লোক ঠকানো অভিশাপ নেই।
শুধু আছে একরাশ সরলতা,
আর এক পৃথিবী শান্তি।

দিন শেষে ঘরে ফেরার তাড়া আছে,
বুকের মাঝে প্রিয়জনের হাসি মুখ আছে।
আরো আছে,
জ্বালা
গরীব হওয়ার জ্বালা,
নুন আনতে পান্তা ফুরানোর জ্বালা,
রোগ হলে ওষুধ কেনার জ্বালা,
দুধের শিশুর আফদারের জ্বালা।    
আপনাদের মতো ধনীলোকেদের থেকে পাওয়া অসন্মান আর অপমানের জ্বালা।।    

কিন্তু শান্তি আছে অনেক।
ক্লান্তি নেই।
স্ত্রীর পরকীয়া নেই,
পূত্রের বেলেল্লাপনা নেই ,
কণ্যার মতো লক্ষী নেই,
দুঃচিন্তার নির্ঘুম রাত্রি নেই।
সুগার নেই,
মদ্যপানের নেশা নেই,
বৃদ্ধ কালের বৃদ্ধাশ্রমও নেই।  

শুধু আছে নারীর আঁচলে মুখমোছার আনন্দ,
পুত্র কন্যার অফুরন্ত ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা ,
আর মায়ের মতো যত্নশীল স্ত্রী।