আতর মাখা ঘামে,
সূর্য ডোবা সন্ধে নামে ;
কাজল লেপা চোখে ;
গ্রহণ লাগে চাঁদে।
ঘুমায় খুকি আধো জেগে,
কালোয় ভরে সন্ধে।
তারায় ছোয়া কালো গগনে,
আধার রাতের জোনাক নাচে।
ও চাঁদ তুমি নীল আসমানে,
নকশিকাঁথার মাঠে,
কোন এক কিশোরের ,
মাঞ্জা দেওয়া লাটাইয়ে;
বালিকার ঘুমের ঘোরে ;
স্বপ্নের রঙিন সন্ধে নামে।
রঙ ছড়াতে আছে মানা,
কলিজার ভীতরটা পোড়া,
বারুদ বারুদ গন্ধে।
মা মরেছে বাপ মরেছে,
ঘ্রাণ আছে কাথা বালিশে।
মা ডুবেছে জলে,
আর বাপ হয়েছে শহীদ একাত্তরে।
বাধলে বাধুক আবার যুদ্ধ ;
রনং দেহি প্রলয় নৃত্য।
আর কত দিন ছেড়া জামা,
ডাস্টবিনের পচা খাওয়া।
পথের ধারে,
ঘুমিয়ে পড়া।
তবুও,
স্বপ্ন দেখে মেয়েটা,
তার সেই মলিন খাতা,
সেই খানেতে থাকে আঁকা ;
ঘোড়ায় চড়া আবছা আবছা,
সয়ম্বরের গল্প আঁকা।
ওগো কণ্যে,
দিন গিয়েছে বদলে ;
পাথর পথে ঘোড়সাওরে,
রাজপুত্তুর আজ অবসরে,
ক্লান্ত হয়ে,
পথের ধারেই ঘুমিয়ে পড়ে।
তবে কেন কাজল আঁকো,
ছোট্ট পায়ে আলতা মাখো!
আয়না ভেজে চোখের জলে,
আঁচল পোড়ে মোম অনলে।
ঘুম ভাঙলে দেখবে তুমি,
লাজুক মুখের মুচকি হাসি।
নেই কোথাও ছড়ার বইয়ের বুলবলিটি,
শুধু আছে, জঞ্জালে ভরা এই পৃথিবী।