তোমার জন্য একটা ঘর তৈরী করছি প্রিয়তমা,
নদীর ধারে নির্জন মাঠের মাঝে ছোট্ট একটা ঘর।
খড়ের ছাউনি আর মাটির দেওয়াল,
চলবে না!
সাথে একটা ছোট্ট পুকুর।
পাড়ে পা দুলিয়ে বসবে বলে,
মাচা বাঁধছি কাঁচা বাঁশে।
কি পছন্দতো?
চারিদিকে অনেক গুলো গাছ লাগিয়েছি,
আম-জাম-কাঠাল-কুল-পেয়ারা ;আরো কতো কি।
বাড়ির সামনে কিছুটা ফাঁকা জায়গা রেখেছি,
ফুলের বাগান করবো বলে,
রোজ বিকেলে জল দেবে
আঁচলটি বেঁধে কোমরে,
সন্ধ্যা বেলায় নদীর ধারে চুপটি করে বসে,
ফুলের সুভাস নেব দুজনে প্রাণটি ভরে।
একটা তুলসীর পিড়ি তৈরি করবো ভেবেছি,
সাঁঝের বেলা প্রদীপ হাতে আরতি করবে তুমি,
তোমার পাশে বসে দেখবো তোমার বধুবেশি মুখখানি।
রাত যখন একটু হবে গভীর,
নদীর পাড়ে যাবো,
জাল ফেলে মাছ ধরবো,
তুমি পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকবে কুপি হাতে।
সকাল হলেই তোমার তাড়া শুরু হবে,
মাটির দেওয়াল লেপবে -উঠান ঝাট দেবে,
একটু পরে কলসি কাখে নদীতে যাবে জল আনতে,
মাটির হাড়িতে ভাত বসাবে,
সরপুটি আর কলমি শাকের ঝোল হবে,
কাসার থালায় ভাত বাড়বে,
একটাই থালা হবে,
দুজন মিলে একসাথে খাবো।
আরেকটু যখন বেলা বাড়বে,
সূর্যটা ঠিক মাথার উপর,
দুজন মিলে স্নানে যাবো নির্জন নদীতে,
তোমার গায়ে জল ছেটাবো,
আমার গায়ে আদর।
এমনি করে যাবে কেটে,
বছরের পর বছর।
একদিন এক শিশু আসবে,
ফুল ছিড়বে,
ছুটে যাবে নদীতে,
তোমার মত হবে,
খুব দুরন্ত হবে।
একদিন চুল পাকবে,
দাঁত পড়বে,
ফোকলাটে হবো।
তার পর,
তারপর বাকিটা ইতিহাস।।