একটা মেয়ে কে চিনি আমি....
কবিতার ছন্দের মতো মিস্টি,
জলতরঙ্গের মত আবেগী।
আসমানী নীল মেঘের মতো উচ্ছল,
বেখেয়ালী লজ্জাবতির মত চঞ্চল।
রাখালিয়া বাশির সুরের মত মলিন,
শীতল বটের ছায়ার মতো যত্নশীল।
সদ্য জন্মানো রঙিন প্রজাতির মত সুন্দর,
উষার কিরণের মত ভঙ্গুর।
নীরবে বয়ে চলা স্রতোস্বিনী নদীর মতো অভিমানিনী,
মায়ের ব্যাকুলতার মতোই মমতাময়ী।।
ওর মধ্যে দেখেছি পাগলাঝোরা নদী,
দেখেছি আষাঢ়ের কাজল ঘন মেঘ।
কাল বৈশাখীর উড়ন্ত বকের সারি,
ভাগিরথীর বুকে আটকে থাকা ফারাক্কা।
দেখেছি কলঙ্কহীন পূর্ণিমার চাদঁ,
আঁধার রাতের অসম্ভব মায়ার ফাদ।
দেখেছি সম্ভাবনার বিজলি চমক,
দেখেছি অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানল।
দেখেছি ভাটিফুলের নীরবতা,
সহস্র বছর ঘুমিয়ে থাকা নীলগিরির নিস্তব্ধতা।
দেখেছি ব্যারেন আগ্নেয়গিরির হঠাৎ জেগে ওঠা,
সেন্টিনেলের অরণ্যের শান্ত শীতল সভ্যতা।
আমি ঐ মেয়েটাকে চিনি,
সামান্য বছর দুই ধরে চিনি।
ঠিক চিনিও না আবার অনেকটা চিনি,
শান্ত-দূরন্ত ভীষণ মমতাময়ী মেয়েটাকে চিনি আমি।
ও আমাকে টক দাদা বলে ডাকে,
আমি ওকে মিস্টি বুনু বলি।
ও অনেক ছোট্ট একটা মেয়ে,
দারুণ মিস্টি দেখতে।
খুব খুনসুটি করে,
ঝগড়াঝাটি ও কম না।
হাসলে ওর গালে টোল পড়ে,
কাদলে চশমা ভেজা জলে চিবুক ভাসে।
রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও যে,
সত্যিকারের বড় দাদা হওয়া যায়,
তা আমি ওর থেকেই জেনেছি।
একটা ভিন্ন ধর্ম আর পরিচয়ের বেড়াজাল হীন ব্যাক্তি,
পরিবারের বড়ো ছেলে হয়ে উঠতে পারে,
তা ওর পরিবারের থেকেই শিখেছি।
সামান্য সার্থ ছাড়া যে এত ভালোবাসা পাওয়া যায়,
তা ওকে দেখে জেনেছি।
দুঃসময়ে পাশে দাড়াতে দেখেছি,
সুসময়ে খুনসুটি করতে দেখেছি।
গোপন কথা গুলি নির্দিধায় বলতে দেখেছি,
একান্ত দুঃখে দুফোঁটা চোখের জল ফেলতে দেখেছি।
আমি ওকে ভীষণ চিনি,
অসম্ভব রকমের ভালোবাসি।
ভালো থেকো মিস্টি বোনটি।
যেদিন চলে যাবো অনেক দূরে,
অজানা কোনো এক সুদুরে,
আঁচলের একটি কোণ রেখো সজতনে,
আমার চোখের দুফোঁটা জল মোছাতে।
সযত্নে রেখো রাখি গুনে গুনে,
অনেক বছর পর একসাথে বাধবে বলে হাতে।
সেদিন তোমার,
মমতার আবেগগুলোকে বড্ড বেশি মিস করবো,
সেদিনও জানবে তুমি,
আমি ছিলাম-আমি আছি-আমি থাকবো।
প্রিয় বোন আমার,
সমস্ত স্বপ্ন পূরণ হোক তোমার।
একটাই আশিষ তোমার জন্য,
বিজয়ী ভব
বিজয়ী ভব
বিজয়ী ভব ।
( কবিতাটি প্রিয় বোন সানা নিগাড় কে উপসর্গ করলাম, ওর জন্মদিনে দূর থেকে দেওয়া উপহার )