স্মৃতি:

অনেক দিন দেখিনি
তোমার মুখ।
শোনা হয় নি তোমার স্বর।

ঠোঁটে হাঁসি নিয়ে উড়ে গিয়ে বসেছো, দূরে কোনো জাহাজের মাস্তুলে।

উচ্ছিষ্টটুকু পড়ে আছে সমুদ্রতীরে ।জ্যোৎস্নায় ।

গুঁড়ো গুঁড়ো উচ্ছিষ্ট,
পড়ে আছে ।

একদিন:

মানুষটিকে দেখেছিলাম ।
ঠিক দেখার মতো নয় ।
বাষ্পরুদ্ধ হৃদয় ছিলো
ঝোলায় ভর্তী করে সুপ্রাচীন ভয়। আর,
তোমার গাছের পাজির পাঝাড়া পাতাগুলো শুধু, সময়ে অসময়ে উড়ে এসে পড়ছিল,
আমার হাঁটাচলার পথের সামনে।
আমি মানুষটিকে দেখেছিলাম তখনই।
তবে , ঠিক দেখার মতো করে নয়।
দেখার মতো করে দেখিনি।

হিমাংশুর একদিন:

হিমাংশুশেখর চায়ে চুমুক দিলেন।
মালিনী রান্নাঘরে।

সামনে খোলা খবরের কাগজ। আজও ফোন করলো না খোকা।

ক্রিং ক্রিং বেল । রাস্তায় ব্যস্ততা। কাজের মেয়েটা খুব কামাই করে।

মালিনীর শরীরটা...

হিমাংশু শেখর একদিন যুবক ছিলে!! বুকপকেটে বৃষ্টি নিয়ে ঘুরতে এই তো সেদিন !


বোধের অতীত জলে:

বোধের অতীত জলে মন পরে আছে ।

চেতনায় ভাঙ্গনের স্পষ্ট ছবি। ভাঙ্গন , রক্তপাত।

আচমকা তুষারপাত হয়ে
গেলো আমাদের, মধুপুরের ফ্ল্যাটে।

কোথায় ছিলে? বিপন্নতায় , বিপর্যয়ে।

কোথায় ছিলে? একবুক জলে।

টেলিফোনে কি দূরত্ব কমে ! অন্নচিন্তা !

ভাগ্গিস! কিছু কিছু মেঘেদের ভেসে যেতে দেখেছিলাম।

পাখিদের ওড়াউড়ি এই বিস্ময় ভোরে।