আমার ব্যক্তিগত রবীন্দ্রনাথ :

আমার ব্যক্তিগত রবীন্দ্রনাথ
মেট্রোতে বসে খবরের কাগজ পড়ে।
অল্পবয়সী কিছু মেয়ের দিকে মাঝে মাঝে চোখ চলে যায়।
মনে আনন্দ পায় সে।
আমার ব্যক্তিগত রবীন্দ্রনাথ মাঝে মাঝে অল্প বৃষ্টিতে ছাতা না খাটিয়ে ভিজতে ভালবাসে ।
খুব গরমে রুমাল দিয়ে ঘাম মোছে না ।
আমার ব্যক্তিগত রবীন্দ্রনাথ মাঝে মাঝে ভীড়ের মধ্যে তোমাকে খোঁজে । তুমি নেই জেনেও ।
আমার ব্যক্তিগত রবীন্দ্রনাথ মাঝে মাঝে কথার খেলাপ করে ।
আমার ব্যক্তিগত রবীন্দ্রনাথ আঁট ঘাঁট সব বোঝে ।
আমি আমার রবীন্দ্রনাথ কে সবার সামনে আনতে পছন্দ করি না ।


তোমাকে:

মাংসপিন্ড খুবলে নিয়েছো তুমিও
দুহাতে তোমারও রক্ত লেগে আছে
হাড় মজ্জায় হাতড়ে বেরিয়েছো
আজকে আবার কি চাও আমার কাছে

আমি যখন অসহায় তৃণভোজী
শিকারি বেড়াল সেজেছো তুমি রাতে
অস্থিমজ্জা মাংস সুস্বাদু
এরকমটা পাবেনা এতল্লাটে।


ট্রেনযাত্রা:

কাল বিকালে দিদির বাড়ি যাবি ?
ওলটপালট সকাল রাত্রি
ভুলে গেছিস চাবি ?
অন্যপথে গুরগুড়িয়ে
দিদির বাড়ি যাবি ?
যাত্রী সবই লোকাল ট্রেনের ।
সেই তো কথা দেড় মিনিটের।
এসব আলাপ শান্ত হলে,
আঁকবি বসে ছবি?
কাল বিকালে দিদির বাড়ি যাবি?


অন্ধকারে গভীরে:

বোধ ছন্দ বোঝে না ।
বোধ শুধু ঘুমোতে চায়।

কিন্তু, এই রংমশাল জীবন ।
এই চুরি করে করে গুঁড়ো দুধ খাওয়া ।
তুমি কি এই সব ছিলে!

অথবা,এর সবটাই শুধু তুমি নয় ।

অথচ,কোনোদিন ভাবিনি জীবন জড়িয়ে থাকবে ধুলোকনায়। চকের গুঁড়োতে।

অন্ধকার জড়িয়ে থাকবে নিঃসঙ্গ ল্যাম্পপোস্টে।

বোধ তোমাকে বোঝে না।
শুধু ঘুমোতে চায়।