চীনের রাসায়নিক ল্যাবে সৃষ্ট তুমি করোনা,
বিশ্ববাসিকে এইভাবে আর তুমি মেরো না।
চীন আগামীতে বিশ্বনেতা হতে করেছিল করোনা চাষ,
তারই জন্য সারা বিশ্বে আজ সবার উপবাস।
পশু, পাখি মানুষ না খেতে পেয়ে মরে,
নিরুপায় মানুষ বন্দি রয়েছে ঘরে ঘরে।
পথে ঘাটে বেরোলেই পুলিশের মার,
কারণ "কোভিদ-19" এর হয়েছে বিস্তার।
মানুষের ভিড়ে ভিড়ে বিস্তার করে মহামারি,
সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরী।
সরকার তাই করল কার্ফু আর লগডাউন_ জারি,
এটাই তোমার প্রতিশেধক ওগো করনা মহামারী।
করনার ফলে অর্থনীতির গেলো রসাতলে,
করনা তুমি নিমেষেই সবার চোখ ভাসালে জলে।
খেটে খায় যারা দিনমজুর, করবে তারা কী?
অভুক্ত পেটে বসে রয়েছে তাদের বাড়ির মা ও ঝি,
শিশু থেকে বৃদ্ধ দিচ্ছ না কাউকে ছাড়,
সবার মাঝে করোনা তুমি করছো বিস্তার।
একদিন তো মরেই যাবো দেহ পড়বে মাঠে,
তারই জন্য আর বিভেদ নেই এখন জাত পাতে।
বিজ্ঞানকে দূরে সরিয়ে মাদুলি পরতো যারা,
আজ ধর্মগুরুকে এড়িয়ে ডাক্তারের কাছে তারা।
মন্দির মসজিদ বন্ধ এখন মহামারী চলছে,
ডাক্তার, নার্স, বিজ্ঞানী, মন্ত্রী সবাই সেবা করছে।
শহর বাজার কারখানা স্তব্ধ গাড়ীর কোলাহল,
প্রকৃতির এই দূষণমুক্ত দৃশ্য লাগছে সচ্ছ্বল।
যারা কাজের চাপে পারতো না ঘরে সময় দিতে,
আজকে তারা বাধ্য হয়ে মিলছে সবার সাথে।
আলমারির বইগুলো পড়েছে ধুলোয় ঢাকা,
একবার হলে বইগুলোকে আবার ফিরে দেখা।
চোর ডাকাত জঙ্গিরা সব ভয়ে রয়েছে ঘরে,
জেলখানার ঐ কয়েদিরা সব মাক্স তৈরী করে।
নেতা নেত্রী পুলিশ প্রশাসন যাদের ভাবি স্বার্থান্বেষী,
তারাই আজ মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে বেশি।
রাজনীতির ঔ ভেদাভেদ এখন সব শেষ,
ঘৃণার বদলে ভালোবাসা ছড়িয়ে মোদের দেশ।