শরমগাহ ভেসে গেছে মধ্যরাতে আচমকা উষ্ণ বীর্যস্রোতে l
বিচ্ছেদের পর সন্ধি দাম্পত্য কী অমোঘ টানে
খেয়াল করেনি
তালাকসুদার জেনা;অভিযোগ,দেয়াল করেনি
বেহায়া খানকি শালি হালালা করেনি
অথচ শরমগাহ ভেসে গেছে উষ্ণ বীর্যস্রোতে ll
মরদটি পালিয়েছে প্রানভয়ে l শরমগাহ ভেসে গেছে রক্ত বীর্যস্রোতে
এ জেনার শাস্তি দোররা,সালিশি সভার শেষে ফতোয়া এসেছে তারই মাথা পেতে নিতে হবে তাকে l
মাগরিবের শেষে
মসজিদের পশ্চিমপ্রান্তে পিছমোড়া করে বেঁধে আনা হলো তাকে
অগনিত কৌতুহলী মোমিনের ভিড়ে l
প্রথম প্রহারে তার ঠোঁট বেয়ে নেমে এলো খানিকটা কষ
দ্বিতীয় দোররার ঘায় চামড়া ফেটে রক্ত এলো নেমে
এলো পাথারি দু চার ঘায় হাঁটু মুড়ে শরীরটা বসে গেলো শেষে
আরেক ঘা,যুগপৎ গোঙানি ও আর্তস্বর ভিড় ঠেলে চকিত নিমেষে
কেঁদে উঠলো আম্মাআআআ...আম্মা গো...
কন্ঠস্বর বাস্পরুদ্ধ...দুই খুদে জড়িয়ে ধরেছে আম্মাকে l
এই বুঝি সেই টান শরমগাহ মুখ বুজে ভেসে গেছে,ভেসে যায়,যাবে বীর্য স্রোতে l
সমবেত মৌ-লোভীরা বলে উঠলোঃ "আপদ"
মৌলবীরা বললোঃ সহি ঈমান একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিবিধান l
মোমিনরা বলে উঠলোঃ- উলেমা এ ইকরাম এর ফতোয়া আমল হোক l
এতো বাক্যবাগীশের মাঝে একজন ছিলেন যিনি কিছুই বললেন না l
জান্নাতকে পায়ের তলায় রেখে না জান্নাতের লোভ না জাহান্নামের ভয়
কখনো প্রেমের জন্য আপোসকামী অথচ সত্যের জন্য আপোসহীন
সত্তর ঘা দোররা খেয়েও কিচ্ছুটি বললেন না l তাঁর নীরব কর্তব্যপথ শুধু নীরবতায় ভাস্বর করলো শ্বাশ্বত অমর দু কলি-"পর্দা নেহি যব কোই খুদাসে বান্দোসে পর্দা করনা কেয়া,যব পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া l"