তাঁর ইচ্ছেয় জল পড়ে,পাতা নড়ে
তাঁর ইচ্ছেয় ত্রিভূবণ l বরাবর
গতানুগতিক যখন প্রবাহ স্বরে
মুচকি হাসেন ঘাতকের ঈশ্বর l
আমি তো দেখেছি জীবনের দেহে হরেক কিসিম জামা
আমি তো দেখেছি সে জামার আড়ে দুর্বৃত্তের বাড়
রক্ত শূন্য ভয়ার্ত চোখে দাঙ্গার সে দামামা
বয়োবৃদ্ধ কল্প খোদার মাটিতে নোয়ানো ঘাড় l
না আমি আসিনি তলোয়ার হাতে আসিনি অশ্বক্ষুরে
চারাগাছ এক মাথা দুলিয়েছি তোমার অন্তঃপুরে
পথ দেখিয়েছে পথের হদিশ যে পথে তোমার মন
শস্যপূর্ণ ও জরাজীর্ণ,করেছি পদার্পণ l
আসমানী নই কেতাবীও নই ভাবিত পূর্ণচ্ছেদে
ফারাক যখন কাফের মোমিন শুদ্র চাড়াল ভেদে
মানুষ ফিরেছে কেঁদে,
ধরনী তোমার বহু ঋণ মরু দখল করিনি শৃঙ্গ
স্ত্রীলিঙ্গ নয় পুলিঙ্গ নয় জনম দিও স্ফুলিঙ্গ
বুকে বাঁধ যার নিবিড়ে প্রোথিত প্রতি প্রান সম্পদ
এবং সুপ্ত বিভাজিকা এই মানসিকতার বধ l
যারা খুঁড়েছিলো,খুঁড়ছে কবর চরম দ্বিজাতিতত্ত্বে
জবাবী জলসাঘর ভেঙ্গে দেবে মর্ত্যের মাটি মর্ত্যে l
দেখে যেতে চাই ষোঢ়শী সবুজে সোনার পলি প্লাবন
দাঙ্গাদীর্ণ বসন্তে তার সাদর সম্ভাষন l