জীবনের গাড়ী হঠাৎ এসে দাঁড়ালো
"কর্ম" নামক স্টেশনে।
যারা নামলো, তারা কোলাহল করতে
করতে নব আনন্দে কর্মের প্ল্যাটফর্মে
ছোটাছুটি করতে লাগল।
রসদ হিসাবে আনা ডিগ্রীগুলি নিয়ে পানীয়ের সন্ধানে বিভিন্ন অফিসে
ছোটাছুটি করতে করতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে ডিগ্রীগুলির দিকে
ঘৃণাভরে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো-
সত্যিই কি আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক?
কি পেলাম স্বাধীনতার এতগুলি বছর পর?
গভীর হতাশায় ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেললো ডিগ্রীর ঝুলি!
ঠিক তখনই, সামনে দিয়ে এগিয়ে আসে ভুখা মানুষের বিশাল মিছিল,
শ্লোগানে শ্লোগানে ভরে ওঠে চতুর্দিক:
আমাদের দাবী মানতে হবে,
বেকারদের কর্মসংস্থান করতে হবে, শূণ্যপদ পূরণ করতে হবে,ইত্যাদি...
কে শুনবে এই ভুখা মানুষের কথা?
নিজেদের আখের গুছাতে গিয়ে কখন যেন ভুলে গেছে ওদের কথা!
সময় কোথা এদের কথা ভাববার!
চারিদিকে একের পর এক বন্ধ কলকারখানা,
অফিসে অফিসে টাঙানো বোর্ড -
"নো ভ্যাকান্সি"।
মেয়েদের বায়না,ছেলেদের আবদার,
আনতে স্ত্রীর স্যাটিস্ ফ্যাকশন,
কোথায় যেন চাপা পড়ে গেছে
বেকারদের ঐ অ্যাপ্লিকেশন!
মিটিং -মিছিলের বক্তৃতায়
গুরুগম্ভীর আলোচনা,
সঙ্গে সমান তালে চলে
বিপক্ষ দলের সমালোচনা।
নিভৃতে কোনদিন ঘন একান্তে
জিজ্ঞাসো যদি-
বেকার সমস্যায় কেন অরাজি?
বলবে তখন- দূর্ বোকা,
এতকাল জিতেছি খাইয়ে ওদের ধোঁকা!
চাকরি পেলে কেউ কি আর
ভোটের সময় লড়বে?
ওরা যে তিমিরে আছে
সেই তিমিরেই থাকবে!
সুতরাং -
ওদের সমস্যাটা নয় এমার্জেন্সী,
সর্বত্রই টাঙানো থাকবে-
নো ভ্যাকান্সি!