কোনোদিন! কোনোদিন হয়তো আবারো অন্ধকার থেকে
অক্ষরের মত জ্বলতে জ্বলতে উঠব জেগে!
বা হয়তো চলে যাব চিরকালের মতো, বিস্মৃতির কুয়াশা মেখে!
নইলে তোমরা রাখবে ধরে তোমাদের এস্রাজে আবেগে!
আমিও তো হেঁটেছি অনেক ক্লান্ত সহস্রাব্দের নীরব মিছিলে
বিস্ফোরণের বন্দরে, মৃত্যু হব বলে!
লেখো প্রিয় গ্রহ, বন্দি করো কলমে আমাকে, লিখে যাও!
ঠিক... ঠিক যেভাবে আমার অন্ত্যমিলে ফুটেছিলে একদিন তুমিও!
মনে পড়ে... একসাথে গেঁথেছিলাম উপন্যাস কোন কৈশোরে?
আজ শুধু তাই কম্পিত আঙুলে ছুঁতে চাই তোমাকেই বারে বারে!
বার্ধক্যের আগুন ধরেছে যে ধমনীতে
ছায়াজড়ানো আঁধারি শঙ্খ হয়ে বাজে তার ধ্বনিতে!
শিশু উল্কার কোলাহল শুনতে তো পাও, শুনেছ কি আমার ব্যথা?
শুনেছো, বহুস্বরময়তা, আমার চোখে কোনো... কোনো কথা?
জানি তোমরা শুনতে পাও না... জানি আমি শ্রুতি-বিশ্রুতি থেকে বহুদূর
তবু একই ইস্তাহার আঁকড়ে ধরে চলতে থাকি বারবার!
সে যে আমার বন্ধুত্বের ইস্তাহার! অস্তিত্বের সাথে বন্ধুত্ব!
তবুও তো আমি আজও ধ্রুব, আমিই আজও সত্য!
তাও থাক... থেকে যাই সমাজচ্যুত আমি আলোকবর্ষ ভরে
দুঃখ নেই! দুঃখ নেই, এসেছি তো উজ্জ্বল সুপারনোভা পার করে!
জানিনা আমাদের জন্মান্তর থাকে কিনা! নাকি আমি
অতিনবতারায় ইশ্বরের মত হতে চাই অন্তর্যামী!
জানি না আমি ইশ্বর হতে চাই কিনা! বৃদ্ধ আকাশগঙ্গার ঝরা
চোখের জল রইলো শুধু সাথে! রোজ তো কত মরে তারা!
নেভে কত নক্ষত্র! আমিও তো তাদেরই একজন
সমীকরণে ফেলে আর করো না আমাকে অনুমান
তোমরা শুধু এগিয়ে যাও তোমাদের অনন্তের পথে!
পৃথিবী তোমাকে আমার এ মৃত্যুমুখী আশীর্বাদ!