টুপটাপ অন্ধকারে নদীর কোনায়-কানাচে কলমীলতার ফুলে
শান্ত হয়ে আসে ক্লান্ত সবুজরঙা বিবর্ণতা, ঘুম, ঘাস, জলে!
একা শুধু অপেক্ষায় থাকে সেই দোয়েল, একদিন মানুষের ভিড়ে
চিঠি দিতে গিয়ে, হারিয়ে গিয়েছিল যে অক্ষরের ঝড়ে
তবুও তো চাঁদ ভালোবাসে তাকে, তার ভাষা!
কোথা সে গ্রামের ম্লান অশ্বত্থ তার ঘর-দোর, বাসা
প্রাচীন পাতার গায়ে শালুক-শাপলার নিশ্বাস মেখে
জোনাকিজ্বলা চোখে বৈশাখী স্বপ্ন দেখে!
বিন্নি ধানের শিষ, পাড়া, হেমন্তজড়ানো মাঠ ঘুরে ঘুরে
তুলোপাপড়ি কাশ পাটাতনে, জানালায়, নৌকোর অলিগলি জুড়ে
কৃত্তিকা নক্ষত্র হয়ে, আশ্বিনের স্মৃতিকে লিখতে চায়!
হয়তো তারও নাম ছিল কোনোখানে, আরো কারো কবিতায়!
জীর্ণ সীতাহরনের ওই যে প্রস্ফুটিত প্রজন্মের পর প্রজন্মের এ তীরে বাস
হিমে তার শিকড়ে শিকড়ে পুরোনো ব্যথার মতো ইতিহাস
কত রোদ, বৃষ্টি, সুখ, যুদ্ধের পায়ের চাপে ওঠে জেগে!
সন্ধ্যাকে ছুঁয়ে পোড়ো দেউলের শঙ্খধ্বনিকে
কি আজো মনে পড়ে? ছাতিমের রেনু,নেশার মত
আচ্ছন্ন করে রাখে ইচ্ছেদের; পথ-ঘাট যত
নিভে আসে; অনুচ্চারিত কথাদের তবে আজ ছুটি দেওয়া যায়
শব্দেরাও যে ভিজে গেছে জ্যোৎস্নায় !