যেই শিরার শহরে নামে রাত নশ্বর ডায়েরীটার মলাটে-মলাটে... খাঁজে
জংধরা গল্পের বীজে জন্মায় আমার ওয়েসিস সিক্ত কোনো পাতার ভাঁজে
একঝাঁক অন্ধকার স্পর্শক ছুঁয়ে! তারপরও কোথাও হয়তো অনন্ত মৌনতা ফোটে
আমি তাও সমাপ্তির শেষে দাঁড়িয়ে থাকি আরেকটা বিরামচিহ্ন পকেটে!
আমাকে থাকতে দাও বরং একটা একলা ক্যানভাসে
আমি চাই না ফিরতে ওই সে উপন্যাসে
চাই না ক্রমাগত পূর্ণচ্ছেদ, কোলন, যতি
কিংবা আমার রাস্তার আলোকবর্ষে সহস্র গরমিল জ্যামিতি!
অনেক আঙুলের মুখর মিছিল ধাক্কা দেয় খিড়কির বিবর্ণ কপাটে
সুরকির আস্তরন খসে পড়ে... হাওয়া কোলাহল তোলে কাঠে-ইটে
ইলেকট্রনের বিয়োগান্তক খেলায় আমি তো বরাবর আনাড়ি!
তাই সমাজের আস্তানা থেকে বহুদূর সময়বিন্দুতে সাজাই ঘরবাড়ি
দিনলিপির মুখরা জুড়ে কুড়িয়ে তুলি নিঃসঙ্গতা...
নিজেও বদলে যাই... হঠাৎ নিঃসঙ্গতায়!