এক-দুফোঁটা ছন্নছাড়া তুঙ্গভদ্রা চলতে গিয়ে কার্নিশে
টুপ করে চোখের পাতা গড়িয়ে... ঝুপ করে নেমেছিল অনায়াসে
ঝমঝম ঘুঙুর পায়ে মন... মন গড়িয়ে আবেগ... অন্ধকার নিঝুম!
সেদিন ভীষণ এলোমেলো মেঘ ... সেদিন ভীষণ পশলা-পশলা খেলার ধুম
ডুকরে ডুকরে আষাঢ় কাঁদে যেমন পিউলিছড়ানো মাঠে!
বহুযুগ... নিযুত মুহূর্তের এপার থেকে একটা নিরীহ কুয়াশা হঠাৎ রেখেছিল মাথা আমার কাঠে
কাঠ হয়ে আসা আঙুলের শাখাপ্রশাখায়! হয়তো গম্ভীর সে মৌনতা
আমার ঘরদোর, চিরকুট, পাঁচিলে সাহসী শাল্মলীছায়া, বিষণ্ণতা...
নিভে আসা আমি! তাও তো তুঙ্গভদ্রা এসেছিল সেদিন আমার উঠোনে
প্লাবন পায়ে আবছা শ্বাসের চৌখুপি ঘিরে... কেঁপে উঠছিল বুকের কোণে
খসখস, ঝিরঝির গুঞ্জনে সাদা পাতার নিরলস শেষ টেলিগ্রাম! শেষ শুভ্রতা!
না, না ছিল না কোনো প্রিয় প্রয়োজন, অহেতুক আলাপচারিতা
বরং ওই চারকোনা শূন্যের একপাশে... হঠাৎ পেয়েছিলাম শিরার ছাপ!
জানো ভিজে ভিজে নৈঃশব্দেরও জ্বরে ভীষণ আসে এলোমেলো প্রলাপ
জানো ওরও একটা হৃদয় নিঃসঙ্গতাকে দেওয়া আছে বন্ধক!