ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ হারিয়ে ফেলা লাজুক সুরটার হাত আঁকড়ে ধরলে আঙুলের কোনা
তোমারও কি ফিরে তাকায় মন হঠাৎ করে...হঠাৎ করে কি আস্ত মাঠ-ঘাট উঠে আসে চোখের তারায়?
তুমিও কি দেখো ঘাসসবুজ সুখ ঝরতে ঝরতে মুক্তো হচ্ছে, শিশির গড়াতে গড়াতে শীত শিরার গায়ে
হৃদয়ের কোনো অচেনা গাঁয়ে?হয়তো সেখানে সর্ষেফুল ফোটে... ফোটে খালবিল, শালুকপাতা
উথাল-পাথাল সোনা,নীল, শুভ্রতা, মরচেরঙে উপচে আসে খাতা
গুটি গুটি আকাশ ডানা মেলে দেয়, তখন... পারলে তক্ষুনি ওর থেকে
একটা ভালোবাসা চেয়ে নিও,এমনি একটা ভালোবাসা,যাকে
যেমন ইচ্ছে সাজাতে পারো মেঘ, বন, গঙ্গা-যমুনা কিংবা তিস্তা-বিতস্তা,খাঁজ-ভাঁজ
চেরাপুঞ্জি হয়ে হাসাবে যে, রোদ্দুর হয়ে কুমায়ুনের চুড়ির শব্দে নামতে নামতে কন্যাকুমারী দুর্গা হবে মাঝে মাঝে!
আবার একদিন সেও মিছিলে যাবে জ্বলে,দুর্গারই মত তার রাত্তিরটুকু লুকিয়ে সাবধানে
তুমি তিনসাগরের নোনাজলে ভাসিয়ে দিও ইশ্বরের দরবার আনমনে
যোজিলার নক্ষত্র পুরুর মত জেগে থাকবে তোমার স্বপ্নটায়!
তাও যদি ট্রাফিকের কলরবে, শিশুগাছে যন্ত্রনার দল তোমাকে এসে ফিসফিস করে গল্প শোনায়
অঙ্গ-বঙ্গ কাঁদে, কলিঙ্গ ভাঙে...বলিরেখায় গজিয়ে ওঠা মন্বন্তরে
ঘৃণায় নিংড়ে, লজ্জায় মুচড়ে যেতে যেতে স্থির রাখো শব্দে গেরুয়া
যদি এই কবিতা দিয়েই হুট করে আলো ছিটিয়ে দাও এক রামধনুছোঁয়া
তবে ওই স্বাধীনতার অন্তরীক্ষ তোমার চৌকাঠ, তুমিও ভালোবাসাকে ডেকো ভারতবর্ষ বলে!
-An Obscure Existence