স্টেশনের খাঁজে ঝমঝম করে পার হয় একের পর এক বসন্ত
লাল-কমলা- তাম্রাভ-গোধূলিরাঙা প্রজাপতি... সহস্র, নিযুত, শত
মেহফিলের আসর বসায় আয়ুর প্ল্যাটফর্মে!মাটি কাঁপে থরথর... আলোর মত!
জীর্ণ বেঞ্চ থেকে তাকাই ভিনদেশী কামরা, জানালার খিল ছুঁয়ে টানেল পর্যন্ত
ডানার বোবা মিছিল লেপ্টে সন্ধ্যাটার নিঝুম সংসারে! স্নায়ুর ভাঁজে দপদপ সবুজবাতি
গুচ্ছিত সংবেদনে করছে ভীষণ হাওয়ার চোটে মাতামাতি
কিন্তু এ তো নয় আমার উপসংহার! দ্রুত দাঁড়াই সবজেটে ব্যথা আঁকড়ে ধরে
ওরা ছুটে আসে, ওড়ে জীবন,হৃদয়,সম্পর্কের খণ্ডিত রেখার ভিড়ে
নির্বাক হৃৎপিণ্ড কেবল পেসমেকার গুছিয়ে বলে, জড়িও না ওকে পায়ে!
প্রতিবর্তে নামে উত্তর, আদেশ! ট্রেন ব্যর্থ মুখ ফেরায়... ঝড়ের কুটো উড়ে পড়ে গায়ে
নিরুদ্দেশের দিকে আঙুল বাড়াই আমি! আর করে না কানাকানি সংকেতের ঝাঁক
তারপর বহুদিন ধরে এই একফালি মৃত চত্বরে আছি বসে... শিকড় জন্ম নিয়েছে অস্তিত্বের ফাঁকে
উদাসীন গাছ হয়ে যেতে যেতে দেখো খেয়ালই করছি না বুকপকেটে
ঘননীল নির্জনরঙ, নিঃসঙ্গ মথটা কেমন এসেছে জুটে!