গল্প লিখতে গেলে একটা প্রেক্ষাপট লাগে,
কিন্তু জীবনের গল্পটা এমনি তৈরি হয়।
আমরা মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রানী,
মনুষত্যটা বেঁচতে আমরা ঠিক ঠিক জানি ।
ভাবছি একদিন সারা পৃথিবীটা না বৃদ্ধাশ্রম হয়ে যায়,
অথবা পূর্ন অনাথ আশ্রম !
কিছু মানুষ নিজে মানহুস হবে বলে,
বৃদ্ধ বাবা মাকে ছেড়ে শহরের শিক্ষা মেখে
সমাজপতি হয়ে একসময় নিজের প্রজম্মকে
মানহুস করার অজুহাতে মাতাশ্রম ছেড়ে
নিজেদের মত করে মধুচন্দ্রিমা করে ।
আহা বেশ বেশ বেশ...
আবার তারাই একসময় নিজেদের
সুখপোকার নেশাতেই মত্ত হয়ে,
সেই সন্তানদের দুরে ঠেলে
কিছু প্রাপ্তবয়স্ক এতিম বানায় ।
আহা বেশ বেশ বেশ...
কি মধুরতম ভাবনা...
আমার মতো আমি বাচিঁ,
দুঃখ বেঁচে সুখ সাচি ।
আহা বেশ বেশ বেশ...
এবার একটু কঠিন করে বলি ?
ফুটপাতের যে বৃদ্ধা সারাদিন পথে চলা মানুষগুলোর কাছে
হাত পেতে পেতে ক্লান্ত হয়ে,
দিন শেষে বাড়ী ফেরার সময়
মেঘ আকাশে চেয়ে যদি কখনো অভিশাপ দেয়,
একদিন পৃথিবীরর পুরোটাই একটা বৃদ্ধাশ্রম হোক,
হোক,হোক,হোক.....
অথবা পথে পথে হেঁটে বেড়ানো মলিন মুখের যে মেয়েটি
হাসি মুখে শহরের ব্যাস্ত রাস্তার দামি দামি রংইন চলন্ত
তামাশা গুলোতে শুকিয়ে যাওয়া ফুল বিক্রি করে বেড়ায়,
যদি সেই মেয়েটি কখনো একা হওয়ার কস্টের
মেঘ আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,
পৃথিবীর সবটুকু একটা অনাথ আশ্রম হোক,
হোক হোক হোক....
তাদের সেই অভিশাপ
পূর্ন হোক,
পূর্ন হোক,
পূর্ন হোক............
রচনাকাল : ১৯/০৮/২০১৬