রাত আঁটটা!
অবাধ্য প্রেমিকার মত রক্তপাত ক্রমাগত বাড়ছে
কিছু লিখতে হবেই, আজ বড় লেখা পেয়েছে
সাদা কাগজের উপর খাতায় কলমে আঁকিবুঁকি
চুইয়ে আশা রক্তের ফোঁটায় লেখা হচ্ছে বিচিত্র হরফ।

রাত দশটা !
ক্রমাগত ক্ষরণ হচ্ছে ভেতর ভেতর,
টেনে হিঁচড়ে শরীরীটা খাটের উপর,
ছড়ানো ছিটানো অপ্রকাশিত জীবনানন্দ, মান্দাক্রান্ত সেন, বিদিশা সরকার
কিছু লিখতেই হবে, কবিতার প্রসব বেদনা আস্তে আস্তে বাড়ছে....

রাত বারটা !
আস্তে আস্তে বুজে আসছে চোখ
ক্রমাগত রক্ত ক্ষরণে বুঝিয়ে দিচ্ছে – সময়টা এবার শেষের দিকে
তবুও ! নিছক দুএক লাইন ! যন্ত্রণায় ভেঙে আসছে মাথা
একটা প্রিয় আদুরে সাদা রুমাল রঙ পাল্টে লাল
বেসিনটাও বেশ বুঝতে পারছে – কিছু একটা ছন্দপতন অবধারিত
প্রথমে একবার  রক্ত ক্ষরণ হল ঠোঁট ছুঁয়ে
প্রেমিকার ঠোঁটের মত মৃত্যু শীতল চুম্বন ঠোঁট ছুঁয়ে গেল ।

রাত তিনটে
সর্বশ শক্তি দিয়ে মননিবেশ সাদা অথচ লালাভ খাতাটায়
বার পাঁচেক টলমলে মাথাটা নিয়ে গিয়ে রক্তে রাগিয়ে দেওয়া হয়েছে
পিঙ্ক কালারের বেসিনটায়। দুটো লাল , অপ্রকাশিত জীবনানন্দের তৃতীয় পৃষ্ঠায়
কেমন যেন মঙ্গল চিহ্ন একে দিয়েছে অজান্তে। চোখ বুঝে আসছে ..

ভোর পাঁচটা
শেষপর্যন্ত লেখা হল ! রাত জুড়ে চলা যন্ত্রণার দড়ি টানাটানি ...
বা হাতটা  খাতার উপর মাথাটা এলিয়ে বালিসের কোণায়
তাজা রক্ত এখন সাদা মার্বেলে ! সে নিশ্চিন্তের ঘুম !

আদুরে রুমাল লাল ! খাট জুড়ে কবিতার সংসার !
ঠোঁটে নাকে রক্ত ক্ষরণ এখনও ক্রমাগত ...
কবিতার খাতা জুড়ে –
“এ বসন্ত আমার নয় আর    আজ থেকে
                তাই
প্রথম চুম্বন ছিল মৃত্যুর মত হিম শীতল”