দুপুরের প্রখর রোদে কে এল হাতে লাঠি কুজো পিঠ,
আপাদমস্তক ময়লা লেবাসে দেখিনু সেদিন গৃহে,
জীর্ণশির্ন তার অবয়ব দেখে ব্যথায় এ বুক কাপে
পা খানি তার শুন্য ছিল; শুস্ক চাহনি
ক'দিন ধরে অনাহারে ভুগছে কি জানি।।
নিজ ভরের সাধ্য নাই ; কাধে পুটলি,
সালাম দিয়ে কহিলেন তিনি "আমি কিছু বলি",
আমার আগেই মা যে ছিল ভীষন মনোযোগী,
পাটি পেতে বসালেন মা ; "ক্ষুধার্ত এক রোগী"।
আমি বেজায় খুশি হই মায়ের মুখ দেখে,
আহার সবই দিলাম আমি তার পানে রেখে।
নিজেও আমি বসেছিলাম আগ্রহ ছিল তাই
তৃপ্তি ভরে খাচ্ছে সে ; চেয়ে চেয়ে যাই,
হরেক রকম খাবার দেখে আমার পানে বলেন,
এত খাবার কেন শুধু আমায় একাই দিলেন ?
অনেক দামের দুগ্ধ কি আর আমার খাওয়া চলে?
দুগ্ধটুকু রেখে দিলেন খাবেনা তাই বলে,,
মনে ভীষন কস্ট হল এই হাকিকত দেখে
জমাট বাঁধে কস্ট ভীষন আমার ছোট বুকে।
পরক্ষনেই ফিরে এলাম আমার নিজের ঘরে
অশ্রু ভেজায় চোখের তারা ;কান্না মৃদু স্বরে,
অনাহারে থাকে মানুষ আমারা কত খাই
অন্য দুঃখে দুখি হতে আমি অনেক চাই।
কিছু টাকা গুজে দিলাম মেহমানের হাতে
সন্তুস্ট তবু হইনা আমি কি আর করবো তাতে।
পুটলি ভরা চাউল তাহার আরো কি বা জানি,
সম্বল তাহার এতটুকুই স্বপ্ন কত খানি?
হিন্দু-মুসলিম অধর্ম ;করি না বিচার
মেহমান বলিব তারে; উপড়ে সবার।