এই যে বালিকা!
কি দেখো ওভাবে ; চাতক পাখির মতো ।
এমন ভাবে দেখছো যে, ডানে-বামে মোটেও তাকাচ্ছো না।
মস্কক নামিয়ে বুঝি ধ্যান করছো, হা হা হা
ওমা একি! চোখে তোমার জল কেনো...?
বিশ্বাস করো, তোমার ঘন কালো চুলের ফাঁকেও চোখ দুটো একেবারে কুয়াশাছন্ন।
তবে তোমার থুতনি বেয়ে টিপটিপ করে পড়া পানি দেখেই মাত্র বুঝলাম, তুমি কাদঁছো!
অবশ্য জানি না কেনো, অনুভব হচ্ছে; ব্যাথার বিন্দু গুলো জমিয়ে তুমি মহা সিন্দুতে পরিনিত করেছো।
আর তাই সেই সিন্দুর জোয়ারে বিন্দু ফোটা পানি প্রবাহিত হচ্ছে, যা তোমার হরিণী চোখে এসে টলমল করছে...
তোমাকে তো আজ আমি নতুন দেখছি না, তবে আজ বড্ড নতুন মনে হচ্ছে।
তোমার সুখের নগরে, যাকে মেঘ বলে ডেকেছিলে বৃষ্টির আশাতে,
তোমার সে বৃষ্টি আজ অগ্নি তে পরিনিত হয়েছে, তাহলে কি সেটা মেঘ ছিলো না...?
মনে হচ্ছে আমি কোনো রহস্যময়ী জগতের এক অদ্ভুদ নগরের পথিক!