চলো-না, জলের কাছে বসি!
জল আছে কতটুকু, পৃথিবীর বুকে?
কেন তিন ভাগ জল, আর...
না-না, অনুপাতে নয়, অনুভবে বলো।
এ আবার কিযে বলো, কিছুই বুঝি না।
জল আছে ততটুকু, যতটুকু হ'লে-
ভরা যায় ওই সাগরের তল।
সাগরের গভীরতা কত?
যেখানে ছুঁয়েছে জল সাগরের তল-
ঠিক ততটুকু পরিমিত পরিমান।
আর আমার হৃদয়,
আমাদের ভাবনারা, তার পরিমাপ?
তারা একে অপরের পরিপূরক।
তবে এই হরিণের গলা,
তার সুকোমল দেহ?
সেতো সেই বাঘের মুখের মাপে গড়া,
হরিণের ঘাস আছে, বাঘের হরিণ।
তবে ওই হরিণ শাবক,
অথবা হরিণী?
এরা সব আগামী রচনা করে,
এরা সব মায়াময়
যেমন, আমার কাছে তুমি।
সে কি, আমি কেবল হরিণী?
না-না, ঠিক তেমন নও,
তুমি এক প্রজাপতি
আর আমি? ফুলের পরাগ।
আমার অস্তিত্ব, ভেসে যায় পায়ে পায়ে-
তুমি এলে আমি মুক্তি পাই।
মুক্তি! আমি যে বন্ধন চাই।
সহজ সরল ভাবে এঁকে-বেঁকে-
নদীর মতন তুমি বয়ে যাও,
তোমাকে বাঁধতে পারি না কিছুতে।
বেঁধে আর কি বা হবে বলো?
এই তো ভালোই আছি, তুমি ভালো আছো।
কাছে থাকলেও কেউ কারো নই।
একে তুমি ভালো থাকা বলো?
কেন নয় বলো?
এই যে তোমার পায়ে ফুল-রেনু-
সেকি আমি নই?
এই যে অস্তগামী সূর্য, তার লাল আভা-
তোমার পাখনা আর তুমি, আর আমি
আর আমাদের মুক্তি-
সে তো একে অপরের পরিপূরক।
**অক্ষর বৃত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দ