বুকের গভীরে এক ভয়
সর্বদা কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
মেয়ের স্কুলের মাইনে-
সংসারের খরচ,
আর চোখের পাতায়
রঙিন স্বপ্নের আনাগোনা।
তোমার হাতের ছোঁয়া,
কখনও বা আধো ঘুমে-
একটু গান শোনা।

পারবো তো একা?

এক ভরসা হীন চাকুরী
পদ্ম পাতায়
জলের মত দোলে।
চোখ বন্ধ করে
সাদা-কালো সবই *সই।
শুধু এক ভয়
পাছে পদচ্যুত হই।

লতানো গাছের মত
মেরুদন্ড আজ নমনীয়-
শুধু বাঁচার তাগিদে।
আকন্ঠ নিমজ্জিত
অনিশ্চিয়তার ভয়ে,
বুকের পাঁজর গুলো
প্রতিদিন যায় ক্ষয়ে ক্ষয়ে।

যারা পরম নিশ্চিন্ত বিশ্বাসে
বাঁচে আমার আশ্বাসে,
শুধু তাদের মুখ চেয়ে
আমার প্রতিবাদকে
আমি ঘুম পাড়িয়ে রাখি।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে-
পেটের ভিতর থেকে
সেঁধিয়ে যাওয়া হাত-পা গুলো
শীত ঘুম থেকে-
টেনে বের করি।

চেঁচিয়ে বলি-
ওরে! চেয়ে দ্যাখ তোরা,
আমি মেরুদন্ড হীন নই।
আমার হাড়ে এখনও আছে
দধিচির সেই ঋজুতা।

তবু...

এক ভয় প্রতিদিন
কুঁড়ে-কুঁড়ে খায়,
সব কিছু জেনে-বুঝে
সন্তানের মুখ চেয়ে
চুপ করে রই,
পাছে পদচ্যুত হই।

*সহ্য করা।