কেমন ভালোবাসলে,ছেড়ে আসা যায়!
কেমন বাধন দিলে,খুলে ফেলা যায়!
সম্পর্কের কী-ই বা মানে,যা থেকেও নেই?
কাছাকাছি পাশাপাশি থেকেও যাদের
দুই যুগে দুই প্রহর কথা হয়নি।
আবেগ আব্দারগুলি উপেক্ষা আর অবহেলায়
ছুড়ে ফেলে যে তুমি;বেলা অবেলায় ছুটে গেছো-আগ্রহে অন্যত্র,
তুমি কী আর তার বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারছো?
শুন্যতায় থাকতে থাকতে রচে গেছে যে-
তুমিশুন্য শুন্যতার বাগান,
সেখানে নিজ নদী তরংগে বয়ে চলেই
হয়ে গেছে অভ্যস্ত।
কাছে থেকেও যখন ছিলে না,এখন এ দূরত্ব অতিক্রম করে কীভাবে কাছে পাবে?
ছিলে না মানে নেই,অন্য কোথাও ছিলে।
কাছে পেয়েও যাকে চাওনি,নিজেকে উজাড় করে দাওনি-তার জবাবদিহিতা আজ নিজেকেই দাও!
এক সাগর অশ্রু জলের প্রতিদান কী?-
জিজ্ঞেস করলে লোকে স্বান্তনা দিতো-
যা পাচ্ছ,তাই নিয়ে সুখে থাকো,
তাই নাও, এভাবেই বাচো।
এখন ঘর ভরা নানান রংগের পরিচ্ছদ,
প্রসাধনীর রঙ,যা কী-না প্রত্যাশা ছিলো না,
আবশ্যকীয়ও ছিলো না!
তোমাকে তার নিজের কাছে ভিড়াতে;
গয়না নৌকার গলুইয়ে এত রঙ কেনো ঢালা লাগে?
যে প্রেমিক সে তো ভোলার কথা মনের রংগে।
মনের রঙ না-ই-বা যদি পেলে,তবে তো কারো মতো দেহের রুপ ঐশ্বর্য আর কামনায় ভোলে।
তুমি কেন ভুলেছিলে নিজের বানানো ভুলে?
প্রতিশোধ নিতে গিয়ে অন্যের উপর,কেনো সাজালে- সংসার নামের মিথ্যে তাসের ঘর?
মিথ্যে প্রেমের চিঠিগুলো,মিথ্যে বন্ধনের বাণীগুলো, মিথ্যে প্রণয়ের প্রস্তাব,প্রতিটি দিন রাত্রির মিথ্যে সংলাপ-
সব কিছুর পেছনে যদি বিত্তবান হওয়ারই উদ্দেশ্য,
তবে তো তুমি বিত্তেরই সফল প্রেমিক।
বিত্ত যা যা দিতে পারে,পেয়ে দু হাত ভরে নিয়েছো,
মজেছো বিত্তের চিত্তসুখে। শুধু শুন্য করে গেছো-
মিথ্যে আশ্বাস আর অংগীকারবদ্ধ
সনদ সর্বস্ব;রাখীবন্ধন-
রক্তক্ষরণের দুঃসহ জীবন!